আমরা নজর রাখছি, বাংলাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘ
বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন সভা-সমাবেশের অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ক্লেমেন্ট ভউল।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) এক টুইটে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সম্পর্কিত খবর
টুইটে জাতিসংঘের এই বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার বলেন, বাংলাদেশের ঘটনাগুলোর ওপর বিশেষ নজর রাখছে জাতিসংঘ। বিশেষ করে এ বছরের জুলাই মাস থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে হামলা এবং মৃত্যু ঘটানোর মতো প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের উদ্বেগজনক খবর আসার পর থেকে তিনি বাংলাদেশের ঘটনাবলি অনুসরণ করছেন।
টুইটে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পৃথক আরেক টুইটে ক্লেমেন্ট ভউল বলেন, আমি এর আগে ২০২১ সালে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রাণঘাতী বল প্রয়োগের অনুরূপ প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম।
ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ কোথায় হবে, তা নিয়ে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে মকবুল আহমেদ নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হন। আহত হন দলটির অর্ধশত নেতা-কর্মী।
ওই সংঘর্ষের ঘণ্টাখানেক পরে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি উইন লুইস একটি বিবৃতি দেন। তাতে জাতিসংঘের একটি সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে মতপ্রকাশ, গণমাধ্যম ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে অঙ্গীকারের কথা বাংলাদেশকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
জন্মগতভাবে সব মানুষ স্বাধীন এবং মর্যাদা ও অধিকারের ক্ষেত্রে সমান—সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের এই বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওই বিবৃতিতে উইন লুইস বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশের সব মানুষের সঙ্গে এ ব্যাপারে একাত্মতা প্রকাশ করছে এবং সবার সমান অধিকার, মর্যাদা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে অতীতের মতোই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম