• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেত্রকোনার খলিল কারাগারে

প্রকাশ:  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:০৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেত্রকোনার খলিলুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি ও রেজিয়া সুলতানা চমন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সাভার এলাকায় র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৪ এর অভিযানে খলিলুরকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ২০১৫ সাল থেকে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই খলিলুর পলাতক ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি রাজধানীর দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিয়মিত বাসা পরিবর্তন ও একা বসবাস করতেন। এমনকি যোগাযোগের জন্য তিনি মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতেন না।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনার খলিলুরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তখন তিনি পলাতক ছিলেন। এর আগে গত ১৮ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখার আদেশ দিয়েছিলেন।

২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

শুরুর দিকে এ মামলায় পাঁচ আসামি ছিল। এর মধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বাকি চারজন হলেন- নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের মৃত তোরাব আলীর ছেলে আশক আলী ও জানিরগাঁও ইউনিয়নের মৃত কদর আলীর ছেলে মো. শাহনেওয়াজ। তবে বিচার চলাকালে বাকি তিন আসামিও বিভিন্ন সময়ে মারা যান।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪/১৫টি বাড়িতে লুটপাট ও সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে খলিলুর ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

কারাগার,নেত্রকোনা,যুদ্ধাপরাধ,মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত,খলিলুর রহমান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close