• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

প্রভিডেন্ট ফান্ডে মুনাফার হার সর্বোচ্চ ১৩ শতাংশ

প্রকাশ:  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৪৪ | আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি অর্থবছরেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের মুনাফা বেঁধে দেবে সরকার। যেসব প্রতিষ্ঠানে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফকে বিবেচনায় নিয়ে প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিল (সিপিএফ) রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো মুনাফা নির্ধারণ করতে পারবে। গত অর্থবছরেও একই মুনাফা বা সুদহার ছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগ চলতি অর্থবছরের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার পরিমাণকে তিন স্তরে ভাগ করে এ সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে প্রারম্ভিক স্থিতির পরিমাণ বা এ অর্থবছরে জমা করা চাঁদার পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হলে মুনাফার হার ১৩ শতাংশ। একইভাবে ১৫ লাখের বেশি থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ড পাবে ১২ শতাংশ মুনাফা। আর ৩০ লাখের বেশি টাকার ফান্ড মুনাফা পাবে ১১ শতাংশ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিল বা সিপিএফভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক সংগতি একই রকম না হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের নিজস্ব আর্থিক সামর্থ্য ও বিধিবিধান অনুযায়ী মুনাফা নির্ধারণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে জিপিএফের স্তরভিত্তিক মুনাফার হারকে সর্বোচ্চ বিবেচনা করতে হবে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশন সিপিএফের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা মূল বেতনের সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ অর্থ প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখতে পারেন। আর সিপিএফভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাদের মূল বেতনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ চাঁদা হিসেবে জমা দিতে পারেন। উভয়ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি নিজের জমার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত অংশ পেয়ে থাকেন। প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সিপিএফে মূল বেতনের ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ দিয়ে থাকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। কর্মীরা মোট জমা অর্থের ওপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পান।

প্রভিডেন্ট ফান্ড,মুনাফা,শতাংশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close