• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

লোডশেডিংয়ে ব্যাহত চা প্রক্রিয়াজাতকরণ

প্রকাশ:  ২৪ জুলাই ২০২২, ১০:৫৩ | আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২২, ১০:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

অতিমাত্রায় লোডশেডিং এর কারনে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১৭টি চা-বাগানে ব্যাহত হচ্ছে চা প্রক্রিয়াজাতকরন, নষ্ট হচ্ছে এর গুণমান

চা বাগান সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চা-পাতা তোলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। কিন্তু লোডশেডিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চা শিল্প। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে দুই-তিন ঘণ্টা থাকছে না। ২৪ ঘণ্টায় গড়ে ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে চা-পাতার গুণমান কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়বে রপ্তানি বাজারেও।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা কার্যালয়ে কথা বলে জানা গেছে, জ্বালানি সংকটের কারণে মঙ্গলবার থেকে সরকারি নির্দেশনায় বিবিদ্যুৎ রেশনিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার-বৃহস্পতিবার ৭২ ঘণ্টায় ১০৩ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া গেছে মাত্র ৪৯ মেগাওয়াট। শুক্রবার বেশির ভাগ সময় সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল। শনিবার দুপুরে ১৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া গেছে মাত্র ৬ মেগাওয়াট।

দক্ষিণগুল চা-বাগানের ব্যবস্থাপক এ বিষয়ে বলেন, ‘এখন আমাদের ভরা মৌসুমে। চা-পাতা প্রক্রিয়াজাত করতে ২৪ ঘণ্টা কারখানা চালু রাখতে হয়। এই সময়ে ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চায়ের গুণমান নষ্ট হচ্ছে। আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে। পাতা জ্বলে যাচ্ছে। আমাদের কয়েক হাজার কেজি কাঁচা পাতা নষ্ট হয়েছে। জেনারেটর চালিয়ে কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। গত বছর এই সিজনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কেজি চা-পাতা উৎপাদন হয়েছিল। এবার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু বিবিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’

পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই

লোডশেডিং,চা শিল্প
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close