• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

দেশে ৫৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পায়

প্রকাশ:  ৩০ মে ২০২২, ১৭:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে নিরাপদ পানি পায় মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫৯ শতাংশ মানুষ । আর নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে ৩৯ শতাংশ মানুষের। ‘এডিপি বরাদ্দে আঞ্চলিক বৈষম্য: এসডিজি-৬ অর্জনে একটি বাধা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেস কাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।

‘২০২২-২৩ জাতীয় বাজেটে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দ’ শিরোনামে বাজেট পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান।

তিনি বলেন, এমডিজির পরবর্তীতে এসডিজির যুগে আমরা। এসডিজির ল্যমাত্রার ধরণে কিছু মানগত পার্থক্য রয়েছে। এমডিজিতে শুধু পানি পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এসডিজির লক্ষ্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা। পানি পেলেই তা নিরাপদ নয়। দেশের ৯৮ শতাংশ পানি পেলেও ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পেয়েছে। তাই নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার জন্য বাড়তি কর্মসূচি, নজর লাগবে। মানসিকতায়ও নিরাপদ পানির বিষয়টি আনতে হবে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যানিটেশন উপ-খাতেও অগ্রগতির বিষয়টি উদ্বেগজনক। এমডিজি সময়কালে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ নির্মূলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করে। জাতীয় অগ্রাধিকার সূচক অনুযায়ী শতভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা সেবার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, সেখানে ২০২১ সাল পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ৩৯ শতাংশ। তার মধ্যে গ্রামে ৪২ শতাংশ এবং শহরে ৩৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিনের অন্যান্য মৌলিক নির্দেশকের অগ্রগতি মাত্র ৫৮ শতাংশ এবং ‘সাবান অথবা পানি ছাড়া’ নির্দেশকের জাতীয় অগ্রগতি মাত্র ৩৬ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়। অগ্রগতির এ মাত্রা বলে দেয়, বাংলাদেশকে পানি, নিরাপদ স্যানিটেশন এবং পরিচ্ছন্নতার (হাইজিন) ক্ষেত্রে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

প্রতিবেদনের বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, এডিপির মোট বরাদ্দের (দুই লাখ ৬৬ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা) হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বরাদ্দে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ বা ১৪ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এসব এলাকায় বরাদ্দ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ বছর আগের তুলনায় ৭২ শতাংশ কমেছে।

ওয়াশ খাতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে ভৌগলিক বৈষম্যের বিষয়টি প্রতীয়মান হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিগত বছরগুলোতে প্রত্যন্ত এলাকা, চর, পাহাড়ি ও উপকূলীয় অঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে সর্বোচ্চ শতাংশ তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ অনুন্নত এসব এলাকায় বরাদ্দের প্রয়োজন শহরাঞ্চলের চেয়ে বেশি। তাই, আসন্ন বাজেটে প্রান্তিক একালাগুলোর প্রয়োজন বিবেচনা করে বরাদ্দ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

উল্লেখ্য, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), ইউনসেফ বাংলাদেশ, ফানসা-বিডি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, অ্যান্ড ওয়াটার পোভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম, ইউনিসেফ এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

পূর্বপশ্চিম- এনই

নিরাপদ পানি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close