২০২১ সালে কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৮০৮৬
২০২১ সালে দেশে কোটি টাকা আমানত আছে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে ৮০৮৬টি। আর করোনার মধ্যে গত ২১ মাসে এ সংখ্যা ১৯ হাজার ৩৫১টি। সব মিলিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাবে দেশে কোটি টাকা আমানতকারীর সংখ্যা এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি, যেখানে জমা ছিল ১৫ লাখ ১২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটি টাকার বেশি আমানতের অ্যাকাউন্টে জমা ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা।
সম্পর্কিত খবর
২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে কোটিপতি ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা ছিল পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। ওই সময় মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।
এছাড়া ২০-৫০ কোটির ওপরে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ৮৪টি। এই হিসাবগুলোতে জমার পরিমাণ তিন লাখ ২৮ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যাংকে কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতটি করে হিসাব খুলতে পারবেন তার কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা নেই। সেকারণে একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার এক বা একাধিক কোটি টাকার অ্যাকাউন্টও আছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে কোটিপতি ছিলেন মাত্র পাঁচজন, ১৯৭৫ সালে ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটি টাকার হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি। কিন্তু ১৯৯৬ সালে একলাফে তা দুই হাজার ৫৯৪টিতে পৌঁছায়। সেই ধারা অব্যাহত রেখে ২০০১ সালে পাঁচ হাজার ১৬২, ২০০৬ সালে ৮৮৮৭ ও ২০০৮ দাঁড়ায় ১৯ হাজার ১৬৩টি।
পূর্বপশ্চিম