• বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বাংলাদেশের শততম ওশান গোয়িং জাহাজ কেএসআরএমের জাহান-১

প্রকাশ:  ১৮ জুন ২০২৪, ২৩:১০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাবাহী শততম ওশান গোয়িং বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি জাহান-১’। বিশ্বের এক বন্দর থেকে অন্য বন্দরে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ওড়াবে বিজয় নিশান। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিং।

বুধবার (১২ জুন) জাহাজটি পরিদর্শন করেছেন নৌ বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ, অর্থ লগ্নিকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তা, বিমা কোম্পানির কর্মকর্তা, শিপ ক্লাসিফিকেশন সার্ভেয়ারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেছেন, এসআর শিপিংয়ের বহরে ওশান গোয়িং জাহাজ এমভি জাহান-১ যুক্ত হয়েছে। নিবন্ধনের লক্ষ্যে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাহাজটি বহির্নোঙরে পরিদর্শন করেছেন। আশা করি, শততম বাংলাদেশি জাহাজ হিসেবে এটি নিবন্ধন পাবে।

তিনি জানান, আগে জাহাজটির নাম ছিল ‘এমভি নর্ড প্যাসিফিক’। ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজটি এসএস পাওয়ার লিমিটেডের ৫৯ হাজার ৮০০ টন কয়লা বোঝাই করে রওনা দিয়েছিল গত ২৬ মে। চট্টগ্রাম বন্দরে আসে গত ৭ জুন। কেএসআরএমের পরিচালনাধীন সব জাহাজে কাজ করে থাকেন বাংলাদেশি নাবিকরা। এতে করে মেরিন একাডেমি থেকে পাস করা নাবিকদের নিশ্চিত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। অর্জিত হয় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ জানান, বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ হিসেবে ‘জাহান-১’ এর স্থায়ী নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমরা পরিদর্শনে করেছি। নিবন্ধন সনদ পেলে জাহাজটি বাংলাদেশি পতাকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলতে পারবে। অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ সম্ভব হবে। বাংলাদেশি নাবিকদের কর্মসংস্থান হবে।

তিনি বলেন, ওশান গোয়িং জাহাজ আমদানিতে সরকার সহায়তা দেওয়ায় বড় শিল্প গ্রুপগুলো নিজস্ব জাহাজের সুবিধা বুঝতে পারছে। তাই, এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। জাহাজগুলো পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন, ক্যাডেট ও নাবিকদের দিয়ে। এসব জাহাজে কাজ করছে বাংলাদেশি ওয়ার্কশপ। ইন্সুরেন্স বাংলাদেশি। ক্লাসিফিকেশন সার্ভেয়ার বাংলাদেশি। এখন আমাদের ওশান গোয়িং জাহাজের লজিস্টিক সাপোর্ট, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প গড়ে তোলায় মনোযোগ দিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সাব্বির মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশি পতাকাবাহী ১০১টি জাহাজ নিবন্ধন পাচ্ছে। আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। আশা করি, কিছু দিনের মধ্যে দেশে পৌঁছাবে। দুই ধরনের নিবন্ধন হয়ে থাকে। একটি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন। অপরটি অ্যাকুইজিশন। তালিকায় কোনো জাহাজ ডিলিট হয়ে গেলে পরের জাহাজগুলোর নাম্বার এগিয়ে আসবে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের বহরে জাহাজ কমে যাওয়ার পর একসময় বিদেশি জাহাজেই বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা হতো। ২০১৯ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাহাজ আমদানিতে শুল্কহার কমানোর ফলে বাংলাদেশি বড় শিল্প গ্রুপগুলো ওশান গোয়িং জাহাজ কিনতে থাকে। বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে আমদানি-রপ্তানি খাতে। মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশের সম্মান বাড়তে থাকে। নানাভাবে সাশ্রয় হতে থাকে ডলার।

বাংলাদেশ,বাণিজ্যিক জাহাজ,এমভি জাহান-১
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close