• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘নির্বাচনের পর অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হবে’

প্রকাশ:  ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হবে এবং চলতি অর্থবছর শেষে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে এখন একটা সংকট পার করছি। আমার সিভিল সার্ভিস এবং পাবলিক সার্ভিসের ৩৬ বছরের জীবনে এ ধরনের সংকট আমি কখনো দেখিনি।

তবে নির্বাচনের পর বাংলাদেশের উপর আস্থা বাড়লে বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসবে, বৈদেশিক ঋণের অর্থ ছাড় হবে এবং ইউএস ইন্টারেস্ট রেট কমলে বাংলাদেশের শর্ট টার্ম ক্রেডিট ও ট্রেড ক্রেডিট বাড়লেই অর্থনীতিতে বাউন্স ব্যাক শুরু হবে বলে আশা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম এর সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও অর্থসচিব এসব কথা জানান। তিন ঘণ্টাব্যাপী ওই সভায় দেশের আর্থিক ও মুদ্রাখাতের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান তারা। সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক ডেপুটি গভর্নর উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ইনফ্লেশন রেট কমিয়ে ৮% এ নামিয়ে আনা ও জুনের মধ্যে ৬% এ নামিয়ে আনা হবে বলে জানান অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার।

গভর্নর বলেন, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো বলেই শর্ত অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আহরণে ব্যর্থ হওয়ার পরও আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ আগামী ১৩ ডিসেম্বর ছাড় করবে।

আর অর্থনীতি বাউন্স ব্যাক করলেই এক্সচেঞ্জ রেটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক 'ক্রলিং পেগ' পদ্ধতি চালু করবে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বাভাবিক হলে এক্সচেঞ্জ রেট পুরোপুরি মার্কেট বেজড করা হবে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে সরকার স্থানীয় উন্নয়নে আর এক ডলারও বিনিয়োগ করবে না বলে জানান আব্দুর রউফ তালুকদার।

ট্রিপল ডেফিসিট নিয়ে সংকটে অর্থনীতি

২২ বছর অর্থ বিভাগে কর্মরত থাকার সময়কার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, আমরা সব সময় টুইন ডেফিসিট (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট ও ফিসক্যাল ডেফিসিট) ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। গত অর্থবছর কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট হয়েছে, ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট হয়েছে ১৪-১৫ বছর পর।

'গত অর্থবছরের আগে ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট ১৫ বিলিয়ন ডলার পজেটিভ ছিলো, গত অর্থবছর তা ২ বিলিয়ন ডলার নেগেটিভ হয়েছে। অর্থাৎ, এক বছরের মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে, এমনটি কখনো হয়নি।

‘আমরা এখন এই ট্রিপল ডেফিসিট নিয়ে খুবই সংকটে আছি। গত অর্থবছরের ১২ জুলাই গভর্নর হওয়ার সময় কারেন্ট একাউন্টে ১৮ বিলিয়ন ডলার ডেফিসিট ছিলো, যা জিডিপির ৪%। এটা এখন পজেটিভ হয়েছে,’ বলেন তিনি।

'‘কিন্তু ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট যে নেগেটিভ হতে পারে, তা কখনো আমাদের মাথায় আসেনি। গত বছরের শেষে যখন এটি নেগেটিভ হতে থাকলো, তখন আরেক সংকটে পড়লাম,’ যোগ করেন গভর্নর।

‘এফডিআই অলমোস্ট জিরো হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র পলিসি রেট বাড়ানোর কারণে সেখানে সবাই টাকা রাখছে। আরেকটি হলো- আমাদের নির্বাচন। কেউ এখন ইনভেস্টমেন্টে আসছে না। শর্ট টার্ম ক্রেডিট ও ট্রেড ক্রেডিটও নেগেটিভ। এমনকি আমাদের ওডিএ ডিসবার্সমেন্ট গত তিন বছরের মধ্যে এবছর সর্বনিম্ন। এই চারটির কোনোটিই বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে না। এগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণেরও বাইরে।’

‘আমরা যখন বুঝতে পারলাম সংকট আসছে, তখনই আইএমএফ এর কাছে গেলাম আগে। সংকটে পড়ার আগেই গিয়েছি। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সংকটে পড়ার পর আইএমএফ এর কাছে গিয়েছে। আইএমএফও বলেছে, আমাদের ফান্ডামেন্টাল সমস্যা নেই,’ বলেন তিনি।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডক্টর জাহিদ হোসেন বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এটি ‘বাস্তবতারও ধরাছোঁয়ার বাইরে’ চলে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

নির্বাচনের পর বাউন্স ব্যাক

নির্বাচনের পর দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভনর্র বলেন, প্রধান কারণ হলো আস্থা।

তিনি বলেন, বিদেশি পার্টের এফডিআই গতবারের তুলনায় নেগেটিভ হয়ে গেছে। কারণ, সবাই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে কী হয়, তা দেখে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে। এখন কেউই বিনিয়োগ করতে আসছে না।

‘যেসব ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সঙ্গে লোন সাইন হয়ে আছে, তাদের অর্থ ছাড় করার কথা। তারাও নির্বাচনের কারণে এখন অপেক্ষা করছে। আর এখন অবস্থা তো আরো খারাপ। হরতাল, অবরোধ চলছে। এই সময় বিদেশি কনসালটেন্টও আসবে না, টাকাও ছাড় করবে না,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ইউএস ইন্টারেস্ট রেট এখন স্থিতিশীল আছে। এটা পরবর্তীতে ইন্টারেস্ট রেট কমানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। মারাকাসে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ এর বোর্ড সভায় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি ও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেছেন, এই বছর শেষে ইন্টারেস্ট রেট ২.৫% এ নামবে এবং আগামী মার্চের মধ্যে এটা ২% এ নেমে আসবে।’

‘তাদের এই বক্তব্য থেকে আমরা ধরে নিছি যে, মার্চের পর থেকে এসওএফআর রেট কমে আসবে। আর এসওএফআর রেট একবার কমা শুরু করলে আমেরিকান ডলার আমাদের এখানে আসা শুরু করবে। তখন আমাদের ট্রেড ক্রেডিটও বাড়তে থাকবে’- জানান গভর্নর।

‘তাই নির্বাচনের পর এফডিআই আসবে বলে আমরা খুবই নিশ্চিত। নির্বাচনের পর আমাদের ওডিএ ডিজবার্সমেন্ট বাড়বে। ইউএস ইন্টারেস্ট রেট কমালে মার্চের পরে বাংলাদেশের শর্ট টার্ম ক্রেডিট ও ট্রেড ক্রেডিট বাড়তে থাকবে। তাই মার্চ থেকে আমাদের ফিন্যান্সিয়াল একাউন্ট পজেটিভ হতে শুরু করবে। আমরা খুবই আশাবাদী, এই অর্থবছরের শেষে আমাদের ফিন্যান্সিয়াল একাউন্ট পজেটিভ হয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।

টাকা ছাপিয়ে ঋণ নেওয়া বন্ধ

অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ নেওয়া বন্ধ করা অর্থ মন্ত্রণালয়ের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হলেও দেশের স্বার্থে ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্প্রতি টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়া পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তিনি বলেন, মনিটরিং পলিসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একার পক্ষে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেও সরকার বাজারে টাকা ছেড়ে দিলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক যেমন ইন্টারেস্ট বাড়াচ্ছে, আমরাও ফিসক্যাল ব্যবস্থা নিচ্ছি।

'গাড়ি কেনা, বিদেশে প্রশিক্ষণ, থোক বরাদ্দ ব্যয় সীমিত রাখা, ভূমি অধিগ্রহণ বন্ধ রেখেছি। আমরা ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট করেছি। সাপ্লাই সাইডের সমস্যা মোকাবেলায় ওএমএস বাড়িয়েছি। মূল্যস্ফীতি একটু কমতে থাকায় ওএমএস আপাতত বন্ধ রেখেছি। আবার বাড়লেই ওএমএস চালু হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮%’র নিচে নামিয়ে আনার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এ জন্য বাজার মনিটিরিং ইদানিং খুবই জোরদার করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।

ঋণখেলাপিদের পুরস্কার আটকে দেওয়া হচ্ছে

নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনের প্রয়োগ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ আইন অনুযায়ী, কোনো ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় পদক পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এ বিধান প্রয়োগ করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেওয়া রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কারের তালিকা যাচাই করে ঋণ খেলাপিদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে।

‘খেলাপি হওয়ার কারণে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী এ বছর ওই পুরস্কার পাবে না। ঋণ খেলাপিদের নামের দিকে আমি তাকাই না। যতো বড় নামই হোক, কেউই আমার কাছ থেকে কোনো সুবিধা নিতে পারে না,’ জানান গভর্নর।

খেলাপি ঋণ বাড়ার কথা স্বীকার করে গভর্নর বলেন, আমি গভর্নর হওয়ার পর ঋণ পুনর্নির্ধারণের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগে কোনো রকম ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই ৫-৬ বার রিসিডিউল হতো। আমি চারবার লিমিট করে দিয়ে বলেছি, চারবারের বেশি কোন ঋণ রিসিডিউল করা যাবে না। এরপরে এটি খেলাপি হবেই এবং ব্যাংক মামলা করবে। তাই খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এ ব্যাপারে আমরা খুবই কঠোর।

দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ১৩০০ কোম্পানি

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, অর্থ পাচার খুবই খারাপ আকার ধারণ করেছিলো। বিশেষ করে ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং। হুন্ডির চেয়ে অন্ততপক্ষে ১০ গুণ টাকা পাচার হয়েছে ওভার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে। আমরা দেখেছি, ১০০ ডলারের পণ্য আমদানি করতে ৩০০ ডলারের এলসি করা হয়েছে। ২০ ডলারের পণ্য কিনতে ৪০ ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। এভাবে দেশ থেকে টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে।

দুবাইতে ১৩০০০ বাংলাদেশি মালিকানাধীন কোম্পানি আছে। একেকটা কোম্পানি করতে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা লেগেছে। এই টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে দুবাইতে গেছে। পর্তুগালে গত দুই বছরে ২৫০০ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়েছে। তাদের প্রত্যেককে কমপক্ষে ৫ লাখ ইউরো ইনভেস্ট করতে হয়েছে। এই টাকাও এই দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে- জানান তিনি।

‘এই ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে আমরা জিরো টলারেন্স নিয়েছি। আমি এমন এমন লোকের এলসি আটকে দিয়েছি যারা নিজেরাও চিন্তা করতে পারেনি যে তাদের এলসি বাংলাদেশ ব্যাংক আটকে দিতে পারে। তারা সর্বোচ্চ পর্যায় (প্রধানমন্ত্রী) পর্যন্ত গেছে, আমি যেন তাদের এলসির অনুমোদন দেই। সেখানেও তারা বোঝাতে পারেনি, কারণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি বলেছি যে এভাবে টাকা পাচার হয়,’ বলেন গভর্নর।

তিনি বলেন, আমাদের আমদানি আগে ছিল মাসে গড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার। এখন তা গড়ে ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এর মধ্যে ১-১.৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হতো। তাই প্রকৃতপক্ষে আমাদের আমদানি কমেছে ১ বিলিয়ন ডলারের।

আমি ব্যাংকগুলোকে বলেছি, এলসি ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন রেস্ট্রিকশন নেই। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুধু সরকারের আমদানি ব্যয় মেটাতে ডলার সাপোর্ট দেওয়া হবে। বেসরকারি খাতের আমদানি ব্যয় ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ডলার ইনফ্লো থেকে মেটাতে হবে। এখন ব্যাংকগুলো সে কাজটা করছে। গতমাসে রেমিটেন্স বেশি আসায় এলসি খোলাও বেড়েছে।

ইন্টারেস্ট রেট মার্কেট বেজড হয়ে গেছে

গভর্নর জানান, বর্তমানে ডিপোজিট রেটের উপর থেকে ফ্লোর ও ক্যাপ তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন অনেক ব্যাংক ডিপোজিটে ৯% থেকে ১১% পর্যন্ত রেট দিচ্ছে।

‘কিন্তু লেন্ডিং রেটকে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে লিংক করেছি। লেন্ডিং রেট স্মার্ট সিস্টেমের সঙ্গে ৩% এর বেশি হতে পারবে না। ইন্টারেস্ট রেট আমরা মোটামুটি মার্কেট বেজড করে ফেলেছি,’ বলেন গভর্নর।

রিজার্ভের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ রেট সম্পর্কিত নয়

কতো ডলার রিজার্ভ আছে, তার ওপর এক্সচেঞ্জ রেট নির্ভর করে না বলে জানান গভর্নর। তিনি বলেন, জাপানের রিজার্ভ প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার। তারপরও তাদের কারেন্সি প্রতিদিন ডিভ্যালুয়েশন হচ্ছে। অর্থাৎ, এক্সপোর্টিং কান্ট্রি তাদের কম্পিটিশন ধরে রাখার জন্য ইচ্ছা করে ডিভ্যালুয়েশন করে। স্বল্প মেয়াদে বৈদেশিক মুদ্রার ইনফ্লো ও আউটফ্লোর ওপর এক্সচেঞ্জ রেট নির্ধারণ হয়।

‘এই মুহূর্তে আমাদের নেট ইনফ্লো এর চেয়ে নেট আউট ফ্লো অনেক বেশি। এখন এক্সচেঞ্জ রেট মার্কেট বেজড করা হলে ডলারের দাম বাড়তেই থাকবে। এটা কোথায় গিয়ে থামবে, তা কেউই বলতে পারবে না,’ বলেন তিনি।

নতুন নিকাশ সফটওয়্যার চালু হবে ১২ নভেম্বর

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা নিকাশ সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। এটা কিনতে গেলে ২-৩ কোটি ডলার লাগবে।

আগামী ১২ নভেম্বর আগের সফটওয়্যার বাতিল করে নতুন সফটওয়্যার চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর। সূত্র: দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

পরিবর্তন,অর্থনীতি,নির্বাচন,বাংলাদেশ ব্যাংক,আব্দুর রউফ তালুকদার,গভর্নর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close