• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

বিশ্ববাজারে দাম কমার প্রভাব নেই দেশে

প্রকাশ:  ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১০:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয় রেকর্ড দামে। যুদ্ধের তেজ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলে পড়তে থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমার এ প্রভাব পড়ছে না স্থানীয় বাজারে। ক্ষেত্রবিশেষে দেখা যায়, বিশ্ববাজারের তুলনায় দেশে পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ হারে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও এক প্রতিবেদনে বলছে, গত ১২ মাসে গম, ভুট্টা, ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ২০ দশমিক ০৫ শতাংশ, আর এপ্রিল থেকে টানা নয় মাস বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে।

দেশের প্রধান কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে যেমন—সয়াবিন তেল, চিনি, গম, পেঁয়াজ, মসুর ডাল ও ছোলার দাম বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিশ্ববাজারের তুলনায় স্থানীয় বাজারে এখনো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

২০২১ সাল থেকেই সয়াবিনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দেশের বাজারে সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ২১০ টাকা পর্যন্ত ছুঁয়েছে। যদিও বাজারে এখন ১৮০ টাকা প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে।

গত বছরের মে মাসে অপরিশোধিত সয়াবিনের গড় আমদানিমূল্য ছিল টনপ্রতি ১ হাজার ৮৮৩ ডলার। আর চলতি বছরের মার্চে তা প্রতি টনে ৫৫২ ডলার কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৩১ ডলার, যা শতাংশের হিসাবে প্রায় ২৯ শতাংশ অথচ এ সময়ে দেশে ভোক্তাপর্যায়ে দাম কমেছে মাত্র ৮ শতাংশ।

বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে পাম তেলের দামও। বছরখানেক আগেও যে পাম তেলের আমদানিমূল্য ছিল প্রতি টন ১ হাজার ৫৩৩ ডলার, এখন তা কমে হয়েছে ৯৭৫ ডলার। পাম তেলের দাম স্থানীয় বাজারে কমেছে ২৬ শতাংশ। যদিও বিশ্ববাজারে কমে ৩৬ শতাংশ।

চিনির দাম এক বছর ধরে ছিল ভোক্তাদের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ। গত বছরের মে মাসে আমদানি হওয়া অপরিশোধিত চিনির গড়মূল্য ছিল টনপ্রতি ৪৫৭ ডলার। চলতি বছরের মার্চে তা দাঁড়ায় টনপ্রতি ৪৯১ ডলার। বিশ্ববাজারে ৭ শতাংশ দাম বাড়লেও দেশে বেড়েছে ৪৭ শতাংশ।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে স্থানীয় বাজারে হু হু করে বাড়ানো হয়; কিন্তু বিশ্ববাজারে কমলেও দেশে কমানো হয় না। এটা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রতারণা।

রাশিয়া-ইউক্রেন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close