• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিয়ের জন্য আপনি কতটুকু প্রস্তুত?

প্রকাশ:  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:১৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
ফাইল ছবি

বিয়ের উপযুক্ত বয়স কোনটি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়ান অনেকেই। আসলে নির্দিষ্ট করে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। বিয়ের জন্য খুব বেশি বয়স হতে হবে, এমন নয়। আবার অল্প বয়সে বিয়ে করাই যাবে না, বিষয়টি তেমনও নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ চাইলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। আবার বিয়ে না করেও থাকতে পারেন। কে, কখন, কাকে বিয়ে করবে এটি নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে, এমন নিয়মের কথাও কারও জানা নেই। তবে সবার আগে মানসিক প্রস্তুতি জরুরি। অল্প বয়সে বিয়ের ভালো-মন্দ

আজকাল অনেক বিয়ে গড়াচ্ছে ডিভোর্সে। এই বিচ্ছেদের মহামারিতে বেশিরভাগ মানুষই বিয়ে করতে ভয় পান। তাই অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না সচেতন তরুণরা। বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করেন আজকাল এমন মানুষের দেখা পাওয়া যায় না খুব একটা। দিনশেষে যার সঙ্গে সারাজীবন পার করবেন তার সঙ্গে কয়েকটা বছরের চেনাজানা বাকি পথচলাকে মসৃণ করে তুলতে পারে।

এদিকে, অল্প বয়সে বিয়ে করার বেশকিছু ভালো দিকও রয়েছে। ভালোবাসার মানুষকে যেকোনো সময়ই বিয়ে করাই যায়।

আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত কি-না, বুঝবেন যেভাবে-

মোহ এবং ভালোবাসার পার্থক্য জানুন

মানুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মুগ্ধ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব মুগ্ধতাকে “ভালোবাসা” ভেবে নেওয়া ভুলেরই নামান্তর। মানুষ যেকোনো বয়সেই মোহাবিষ্ট হতে পারে। তখন সে পছন্দের মানুষটিকেই ভালোবাসার মানুষ হিসেবে ধরে নেয়। কিন্তু এটি বাস্তবতা নয়। এই পার্থক্যটা অনুধাবন করতে পারলে, সেদিন বুঝে নেবেন আপনি বিয়ের জন্যে প্রস্তুত।

বিবাহিত জীবনের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে জানা

মনে রাখতে হবে, বিয়ের পর দায়িত্ববান হতে হয়। সারাদিন ইচ্ছেমতো ঘুরে যখন খুশি বাসায় ফেরার প্রবৃত্তি বদলাতে হবে। যার সঙ্গে সারাজীবন কাটাবেন, তাকে কীভাবে খুশি রাখা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। বিষয়টি হয়ত কঠিন। অভিজ্ঞতা না থাকলে এক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগের প্রয়োজন। তাই বিবাহিত জীবনের দায়িত্ববোধ জানা থাকলেই আপনি নিজেকে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হিসেবে ধরে নিতে পারেন। অতিরিক্ত আশা করবেন না

আপনার জীবনকে পরিপূর্ণ করে তোলা কিংবা প্রাণবন্ত রাখার পুরো দায়িত্বটাই জীবনসঙ্গীর নয়। বিয়েই সব সমস্যার সমাধান- এমন ধারণা ভুল। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার সমাধান করে আসা প্রয়োজন। আপনার সাফল্য কিংবা নিরাপত্তার সঙ্গে বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত থাকার তেমন সম্পর্ক নেই। নিজেই নিজের পাশে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে আপনার সঙ্গীর সমর্থন পেলে তা আরও বেশি ভালো। তবে না পেলেও হাল ছাড়া যাবে না।

পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ রাখা

জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কঠিন বিষয়গুলো সহজে আলাপ করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। কখনো কখনো ঝগড়া হওয়া স্বাভাবিক, তবে সব সময় পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং দিনশেষে মানিয়ে চলার মানসিকতাও থাকতে হবে। যতই প্রেম থাকুক, যোগাযোগের অভাবে সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। তাই সঙ্গীকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়ার সুযোগ থাকলে বুঝবেন আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত।

মূল্যবোধ

বিয়ের জন্য পুরনো শখ বা আনন্দ উপভোগ করা যাবে না এমনটা নয়। বরং সবকিছুর পাশাপাশি সন্তান এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর ইচ্ছাও রাখতে হবে। নিজের ভেতর দায়িত্ববোধ আনতে হবে। যাতে পরিবারের সবাই আপনার সঙ্গটা পায়। মানসিকভাবে এসব প্রস্তুতি থাকলে বুঝবেন আপনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত।

বিয়ে,আনন্দ,প্রস্তুত
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close