• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

যাত্রা শেষ হলো সিটিসেলের

প্রকাশ:  ১৫ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

মোবাইলফোন অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স চূড়ান্তভাবে বাতিল করেছে ডাক ও টেলিযোগ বিভাগ। ফলে যাত্রা শেষ হলো দেশের প্রথম মোবাইলফোন অপারেটরটির। সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র অপারেটরটির কাছে থেকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পাওনা ২১৮ কোটি টাকা পরিশোধ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিটিআরসিতে অপারেটরটির লাইসেন্স বাতিলের পূর্বানুমোদনের চিঠি পাঠিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এর আগে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিটিআরসির কমিশন বৈঠকে সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে চিঠি পাঠায় বিটিআরসি।

সম্পর্কিত খবর

    মঙ্গলবার এ অনুমোদনের চিঠি বিটিআরসিতে পাঠায় মন্ত্রণালয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব এস এম তারিকের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন সভার সিদ্ধান্ত ও বিটিআরসির সুপারিশ মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের প্রাপ্য বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ না করায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর ৪৬(৩) (খ)-এর বিধান অনুযায়ী, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (পিবিটিএল)-এর অনুকূলে ইস্যুকৃত ২জি সেলুলার মোবাইল অপারেটর লাইসেন্স বাতিলের করা হলো।

    গ্রাহক কমতে থাকায় ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর থেকে সিটিসেলের সংযোগ সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সিটিসেলের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া সব তরঙ্গ ও একই বছরের ৭ আগস্ট রেডিও কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

    গত বছরে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে (নির্ধারিত সময়) সরকারের বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের ২জি সেবার লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেওয়া সিটিসেলের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় বিটিআরসি সিটিসেলের ২জি সেলুলার লাইসেন্স বাতিলের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি ৷

    ১৯৮৯ সালে সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেডের অনুকূলে মোবাইল অপারেটরের লাইসেন্স ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে এর নাম রাখা হয় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিতি পায়।

    সিটিসেল
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close