অজ্ঞাত লাশ শনাক্ত করা হয় যেভাবে
বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অনেক সময় নিহত অনেকের মুখ চেনার উপায় থাকে না। সেই লাশের নাম পরিচয় কিংবা শনাক্ত করা যায় না সহজে। বিশেষ করে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের শনাক্ত করা অনেক সময় দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। অথবা মৃত্যু হওয়ার অনেক দিন পর যদি লাশের সন্ধান মেলে তাহলে কীভাবে শনাক্ত করা হয় অপরিচিত মৃতদেহ?
সম্পর্কিত খবর
যেসব মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া যায় সেসব আইডেন্টিফিকেশন করতে হয় না। কিন্তু যেসব ডেড বডির পরিচয় থাকে না সেসব শনাক্ত করতে হয়। এ জন্য প্রথমে আমরা সেসব মৃতদেহের অনেকগুলো ছবি তোলা হয়। মুখ, হাত-পা, মাথা, বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের বিভিন্ন সাইড থেকে অনেকগুলো ছবি তোলা হয়। যাদের লাশ মিসিং হয় তারা থানায় জিডি করলে তাদের আত্নীয়রা এসব ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করতে পারেন। যখন লাশ পোস্টমর্টেম করে রেখে দেওয়া হয় ফ্রিজে তখন আত্নীয়-স্বজনরা শনাক্ত করে অনেকেই লাশ নিয়ে যায়।
পরিচিত কেউ লাশ শনাক্ত করতে আসে না কিংবা মুখমণ্ডল চেনা যায় না কিংবা পুড়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে আমরা লাশের শরীর থেকে টিস্যু নেয়া হয়। শরীরের রানের মাংস নেই। চুলগুলো যদি ইনটেক থাকে তাহলে চুল নেয়া হয় অর্থাৎ চুল টেনে ওঠালে চুলের গোড়ায় যে মাংস থাকে মাংস ও চুল নিয়ে ডিএনএ প্রোফাইল করে রাখে। এরপর আত্নীয়-স্বজন বা যে কোনো মামলা থেকে যদি খোঁজ আসে তখন তার ছেলে মেয়েদের ডিএনএ পরীক্ষা করে মিলিয়ে লাশ শনাক্ত করা হয়।
তাছাড়া পুলিশও লাশ শনাক্তের কাজ করে। অজ্ঞাত লাশের আলামত হিসেবে মোবাইল ফোন, হাতের আংটি, জন্মদাগ, গায়ের তিল দেখা হয়। কেউ যদি দাত ফিলিং করে কালচে অথবা সোনালী কালার করে তবে সেসব দেখেও লাশ শনাক্ত করা যায়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই