• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বহু পথ হেঁটে পোল্যান্ড পৌঁছানো বাংলাদেশির অভিজ্ঞতা যেমন ছিলো

প্রকাশ:  ০১ মার্চ ২০২২, ২১:০৫ | আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ২১:১১
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলাকালে গত কয়েকদিনে ইউক্রেন থেকে অসংখ্য মানুষ পোল্যান্ডে ঢুকেছেন। দুদিনে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে পোল্যান্ড সীমান্ত অতিক্রম করেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শেখ খালিদ ইবনে সেলিম। বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা।

ইবনে সেলিম বলেন, পোল্যান্ড সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় কোনো কোনো জায়গায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার আবার কোনো কোনো জায়গায় ৩৮-৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ গাড়ির লাইন ছিলো।

‘জিনিসটা না দেখালে বোঝানো যাবে না। ইউক্রেনিয়ান, আফ্রিকান, আরব, বাংলাদেশিদের হাঁটতে দেখেছি। আমরা নিজেরা হেঁটেছি ২৭ কিলোমিটারের মতো। গুগল ম্যাপে দেখানো হচ্ছিলো ২৭ কিলোমিটার কিন্তু যে সাইনবোর্ড তা দেখে মনে হচ্ছিলো ৩০-৩৫ কিলোমিটার।’- যোগ করেন ইবনে সেলিম।

তিনি জানান, তাদের সাথে একটি পরিবার ছিলো যেখানে বাচ্চারাও ছিলো। এ কারণে যাত্রাপথে বিভিন্ন জায়গায় বিনামূল্যে খাবার পেয়েছেন।

ইবনে সেলিম বলেন, ‘যখন মোটামুটি জ্যাম থেকে নেমে ১৭/১৮ কিলোমিটার হাঁটি, সেখানে যাওয়ার পর বললো এখানে স্কুলের হলে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। সেখানে রেস্ট নিয়ে রাতে বা কাল সকালে বর্ডারে যেতে পারেন।’ এভাবেই তারা ধীরে ধীরে সীমান্তের দিকে এগিয়েছেন।

কিন্তু সীমান্তের চেক পোস্টে বিশৃঙ্খলার খবর গত কয়েকদিন ধরেই আসছিলো বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতির কারণে।

ইবনে সেলিম বলেন, পুরো ইউক্রেনের ৪ কোটি ১০ লাখ মানুষের অর্ধেক সীমান্তে গেলে কী অবস্থা হয় তা বুঝতেই পারছেন। সব বাচ্চা বা ফ্যামিলি এমন।

তিনি বলন, তারা এমন অনেককে পেয়েছেন যারা সারারাত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে একশ মিটারও এগুতে পারেননি সীমান্তের চেক পোস্টে।

শেখ খালিদ ইবনে সেলিম বলেন, সীমান্ত অতিক্রমের পর সেখানকার সুযোগ সুবিধা তারা ভালোই পেয়েছেন। এখানে একটা ফ্যাক্টরিতে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। বেড ও ফুড ফ্রি।

কিন্তু সেখানে পৌঁছাতে গিয়ে দুই দিন দুই রাত তাদের শুধু হাঁটতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

ইউক্রেনে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর পোল্যান্ডের ওয়ারসতে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেই ইউক্রেনে বাংলাদেশিদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছিলো। জানা গেছে, পোল্যান্ড সরকার ইউক্রেনে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের ১৫ দিনের জন্য ট্রানজিট ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে তারা দেশে চলে যেতে পারেন।ইতোমধ্যে বেশ কিছু বাংলাদেশি পোল্যান্ডে এসে পৌঁছেছেন।

পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা আগেই জানিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনে হাজার দেড়েক বাংলাদেশি রয়েছে যাদের মধ্যে শ পাঁচেকের সাথে তারা যোগাযোগ রাখছেন।


পূর্বপশ্চিম/এসকে

পোল্যান্ড,রাশিয়ার সামরিক অভিযান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close