এআই মডেলের মাসিক আয় ১২ লাখ টাকা
স্পেনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক মডেল। গ্রাফিক ডিজাইনারদের একটি দলের পরিচালনায় সে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মডেল হচ্ছে। বর্তমানে তার মাসিক আয় ৪০ হাজার দিরহাম বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস।
সম্পর্কিত খবর
প্রতিবেদনে বলা হয়, এআই মডেলিং এজেন্সি দ্য ক্লুলেস সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল তৈরি করে। তার নাম দেওয়া হয় আইতানা। এরই মধ্যে কম্পিউটার গেমস ও শরীরচর্চায় উৎসাহী এক চরিত্র হিসেবে তার পরিচিতি তৈরি হয়েছে।
ইউরোনিউজের তথ্য বলছে, এআই মডেল কখনো কখনো প্রতি মাসে ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত উপার্জন করেছে। স্পোর্টস সাপ্লিমেন্ট কোম্পানি বিআইজি সাপসের মুখ হয়ে উঠেছেন এই মডেল। এছাড়া ফ্যানভিউ প্ল্যাটফর্ম থেকে তার মাসিক আয় তিন হাজার পাউন্ডের মতো।
দ্য ক্লুলেস-এর ডিজাইনার ও প্রতিষ্ঠাতা রুবেন ক্রুজ বলেন, “অনেক মডেল কাজকর্মে সঠিকভাবে সহযোগিতা করেন না। সেই জন্যই আমরা এই ধারণা নিয়ে কাজ করি। এরপর আমরা এই মডেল তৈরি করি।’’
এ বছরের জুলাই মাসে আইতানার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। বর্তমানে ওই অ্যাকাউন্টের ১ লাখ ২১ হাজারের বেশি অনুসারী রয়েছে।
এটির জনপ্রিয়তা বোঝাতে রুবেন বলেন, “একদিন জনপ্রিয় এক অভিনেতা আইতানাকে এসএমএস পাঠিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। ওই অভিনেতার প্রায় ৫০ লাখ অনুসারী রয়েছে। আমাদের দলের অনেকে ছেলেবেলায় তার অভিনীত টেলিভিশন ধারাবাহিক দেখেছেন। ওই অভিনেতা জানতেনও না আইতানা আসলে মানুষ নয়।’’
আইতানার জনপ্রিয়তা দেখে “মায়া’’ নামে আরেকটি এআই মডেল তৈরি করেছে দ্য ক্লুলেস। এই মডেলের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টিনার লাজুক প্রকৃতির এক তরুণী হিসেবে।
আর্জেন্টিনার পেশাদার ফুটবল ক্লাব “বোকা জুনিয়রসের’’ ভক্ত মায়া। এই মডেলের বিবরণে ক্লুলেস বলছে, মায়া ধনু রাশির, যেখানে আইতানার রাশি বৃশ্চিক।
ক্লুলেস জানায়, এরইমধ্যে অনেক ব্র্যান্ডই তাদের মডেল হওয়ার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছেন।
ভার্চুয়াল মডেলের আবেদন ব্যাখ্যা করে রুবেন বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেলরা ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করবে। তাদের সরানো হলেও তাতে ব্র্যান্ডের কোনো ক্ষতি হবে না।’’