• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মিজু আহমেদকে হারানোর ছয় বছর

প্রকাশ:  ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৭:৪৫
বিনোদন ডেস্ক

২০১৭ সালের ২৭ মার্চ একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য সন্ধ্যার পর ট্রেনে করে ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন অভিনেতা। বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাতেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তিনি। এ সময় ট্রেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তার হার্টবিট পাননি। পরে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন অভিনেতা মিজু আহমেদ। তিনি মূলত খল অভিনেতা হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্রে বেশি পরিচিত।

বাংলা চলচ্চিত্রের এই ভার্সেটাইল অভিনেতার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। একজন প্রযোজক হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তার চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘ফ্রেন্ডস মুভিজ’-এর ব্যানারে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন তিনি। ১৯৭৮ সালে ‘তৃষ্ণা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৯৯২ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।

সম্পর্কিত খবর

    মিজু আহমেদ ১৯৫৩ সালের ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম মিজানুর রহমান। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। শৈশব থেকে তিনি থিয়েটারের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি কুষ্টিয়ার স্থানীয় একটি নাট্যদলের সঙ্গে যুক্ত হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রি বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেন মিজু আহমেদ।

    বড় পর্দায় তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘তৃষ্ণা’ (১৯৭৮), ‘মহানগর’ (১৯৮১), ‘স্যারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘চাকর’ (১৯৯২), ‘সোলেমান ডাঙ্গা’ (১৯৯২), ‘ত্যাগ’ (১৯৯৩), ‘বশিরা’ (১৯৯৬), ‘আজকের সন্ত্রাসী’ (১৯৯৬), ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ (১৯৯৭), ‘কুলি’ (১৯৯৭), ‘লাঠি’ (১৯৯৯), ‘লাল বাদশা’ (১৯৯৯), ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’ (২০০০), ‘ঝড়’ (২০০০), ‘কষ্ট’ (২০০০), ‘ওদের ধর’ (২০০২), ‘ইতিহাস’ (২০০২), ‘ভাইয়া’ (২০০২), ‘হিংসা প্রতিহিংসা’ (২০০৩), ‘বিগ বস’ (২০০৩), ‘আজকের সমাজ’ (২০০৪), ‘মহিলা হোস্টেল’ (২০০৪), ‘ভণ্ড ওঝা’ (২০০৬) ইত্যাদি।

    মিজু আহমেদ
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close