• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত

প্রকাশ:  ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করেছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম।

এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফখরুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্বালাময়ী ভাষণটিকে আমরা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে চিন্তা করতাম, আজ তা বিশ্বস্বীকৃত। জাতির জনকের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ এ কারণেই যে, একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে তিনি সশস্ত্র বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। এটি ১৯৭১ সালে প্রতিটি বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে, এবং আজও তা বিশ্বের সকল নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং শৃঙ্খলিত মানুষের মুক্তির প্রেরণা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে “

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম আরও বলেন, “আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে, এটির একটি গুরুত্ব রয়েছে। আমরা যারা শিক্ষা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি তাদের মধ্যে একটি ঐক্য, সম্প্রীতি রচনা করে আমরা শিক্ষা আন্দোলনে যুক্ত হতে চাই। সেইসাথে বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অগ্রগামী করার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যে দায়িত্ব রয়েছে সেই দায়িত্ব রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পালন করতে চায়।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি যেভাবে মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে অসীম সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি করার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, সেই সংগ্রামে যুক্ত হওয়ার জন্য রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সক্ষমতা অনুযায়ী অবদান রাখার আহ্বান জানাই।”

ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ বলেন, “এশিয়ার মধ্যে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯ মিনিটের ভাষণে সেদিন কেবল বাঙালি জাতিকেই উজ্জীবিত করেনি, পাল্টে দিয়েছিল বিশ্ব মানচিত্র। এই ভাষণে ছিল বাঙালির মুক্তির মন্ত্র, সে মন্ত্রকে বুকে নিয়ে বাঙালি মরণপণ লড়াই করে অর্জন করে স্বাধীনতা, বাংলাদেশ ।”

এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শহরের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত এই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তিনি।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. মোস্তাফা কামাল খান এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ।

বিশ্ববিদ্যালয়,সিরাজগঞ্জ,সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close