পরশ-দুরন্তের আঘাতের চিহ্নের ধরন একই
নিখোঁজের পর উদ্ধার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ এবং আওয়ামী লীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহে আঘাতের চিহ্ন প্রায় অভিন্ন। দুজনেরই মাথায় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে তারা বলছেন, দুজনকেই হত্যা করা হয়েছে।
দুজনের লাশ পাওয়া গেছে নদীতে; উদ্ধারের সময় পরশের মরদেহে পচন ধরেছিল। দুরন্তের মরদেহেও পচন ধরার কথা জানিয়েছে, পুলিশ ও চিকিৎসক। হত্যার ধরন অভিন্ন হওয়ায় দুজনের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
সম্পর্কিত খবর
নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল পরশের মরদেহ। ওই ঘটনায় মামলা হলেও এখনো হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেননি তদন্তকারীরা। গত শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীর পানগাঁও এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে উদ্ধার হয় দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহ। ওই রাতে স্বজনরা মর্গে তার পরিচয় শনাক্ত করেন। তিনি গত ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পরশের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানিয়েছিলেন, পরশ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে তারা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন। তার মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া বুকে আঘাতের চিহ্ন আছে। ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, পরশের শরীরে আঘাতের চিহ্নগুলো স্বাভাবিক নয়।
এদিকে গতকাল রোববার একই মর্গে দুরন্তের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মফিজ উদ্দিন প্রধান নিপুর নেতৃত্বে। ময়না তদন্ত শেষে তিনি বলেন, নিহতের মাথার পেছনে ও বুকে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এটা ধাতব কোনো বস্তুর আঘাতের চিহ্ন বলে মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দুরন্তের মাথার পেছনে ও দুই পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মাথার ঝিল্লির নিচেও আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। তা ছাড়া বুকেও একই ধরনের আঘাত আছে। প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে—এটি হত্যাকাণ্ড।