এনআরবিসি’র দুর্নীতি অনুসন্ধানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ
এনআরবিসি ব্যাংক ও পরিচালনা পর্ষদের অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের স্থবিরতায় গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সংগঠনের মহাসচিব ও একজন সিনিয়র আইনজীবী।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগে বলা হয়, এনআরবিসি ব্যাংকের একাধিক অনুসন্ধান হঠাৎ কেন থমকে যাচ্ছে? শোনা যাচ্ছে, পাপুল-তমাল গং’রা দুদককে ম্যানেজ করে তাদের সকল অনিয়ম-দুর্নীতি পরিচালিত করে যাচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
অভিযোগে আরও বলা হয়, এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনিয়ম-অব্যবস্থাপনার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তাছাড়া পরিচালকরা ব্যাংকটিকে হাতিয়ার বানিয়ে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এমনকি বিভিন্ন কালোটাকার মালিকদের টাকা সরিয়ে নিতে বর্ণিত ব্যাংক পরিচালকরা ব্যাংকটিকে যত্রতত্র ব্যবহার করছেন। যার জ্বলন্ত উদাহরণ সাবেক এক সংসদ সদস্য কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুল এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল।
‘ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও তার ঘনিষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আরজু, পরিচালক আদনান ইমান এবং মোস্তাফিজুর রহমান। এ ছাড়াও ব্যাংকের সকল পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব চাইলে ভয়াবহ দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে।’
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান-পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ দুদকে আছে। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রয়েছে ভয়াবহ অর্থ পাচার ও লুটপাটের তথ্যচিত্র, যা অনুসন্ধান শুরু হলেই মিডিয়াতে বিস্তারিত চলে আসবে বলেও বলা হয় ওই অভিযোগে।
তারা বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাসী এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে, দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাড. হয়ে নীরব থাকতে না পেরে প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।