বেনজীর আহমেদের অবস্থান নিয়ে ধূম্রজাল
![](/assets/news_photos/2024/06/01/image-269076-1713154121 copy-image-1717217541.jpg)
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তকালীন সময়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা চলছে। তবে তিনি এখন কোথায় আছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কারও কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাই তার অবস্থান নিয়ে দেখা দিয়েছে ধূম্রজাল।
অবশ্য তার ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছেন, তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। ওই সূত্রটি বলছে, ৪ মে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে স্ত্রী-মেয়েসহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান বেনজীর। স্ত্রীর চিকিৎসার কারণে তারা সেখানে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
এদিকে পুলিশের সাবেক এ মহাপরিদর্শককে তার স্ত্রী ও তিন মেয়েসহ তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের তলবি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও মেয়েদের ৯ জুন দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে চারটি ফ্ল্যাট, ৩৩ টি ব্যাংক হিসাব, ১৯টি প্রতিষ্ঠানে শেয়ার ও তিনটি বিও হিসাব এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রের সন্ধান পেয়েছে দুদক। পরে এসব সম্পদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদালতে আবেদন করে দুদকের আইনজীবী। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। যদিও ধারণা করা হচ্ছে আদালতের এ আদেশ আসার আগে গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ সপরিবারে দেশ ছেড়ে যান। তবে তিনি আসলেই সিঙ্গাপুরে আছেন, না অন্য কোন দেশে অবস্থান করছেন সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা সরকারের কোন দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, শুধু দেশেই নয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্পদ রয়েছে বেনজীর আহমেদের। এমন খবরে অনুসন্ধান করছে দুদক। এ তিন দেশে বেনজীরের কি পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তা জানতে বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআই ইউ) মাধ্যমে তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার, র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ৭ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল।