একাধিক মামলায় আলতাফ-আলালকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ
![](/assets/news_photos/2024/02/11/Untitled-3-image-1707648939.jpg)
নাশকতার পৃথক সাত মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি ভাইস প্রেসিডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং দলটি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতানা সোহাগ উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের জামিন শুনানির জন্য বেলা ৩টায় সময় ধার্য করেন।
সম্পর্কিত খবর
অসুস্থ থাকায় আলতাফকে শুনানিতে ভার্চুয়ালি কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। তিনি বলেন, “আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে রমনা থানার পৃথক তিন মামলা এবং মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে রমনা থানার তিন ও পল্টন থানার আরেক মামলায় জামিন আবেদনসহ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনটি মঞ্জুর করেন এবং জামিন শুনানির জন্য বিকেল ৩টায় সময় ঠিক করে দেন।”
এর আগে, গত ৫ নভেম্বর ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করে র্যাব। ওইদিন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানান, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতা মামলার এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে র্যাব সদর দপ্তরে আনা হয়েছে।
এরপর আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে নাশকতা ও ভাঙচুরের এক মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবু আনছার।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৯ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন। বর্তমানে এ মামলাটিতে জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ৩১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শহীদবাগ এলাকা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই দিন ওই এলাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, “তারা দুইজন পুলিশ হত্যা মামলার আসামি। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।”