কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ৬ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
কুড়িগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় জেএমবির ছয় জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সম্পর্কিত খবর
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত জেএমবি সদস্যরা হলেন—রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, গোলাম রব্বানী, হাসান ফিরোজ ওরফে মোখলেছ, মাহাবুব হাসান মিলন ওরফে হাসান এবং আবু নাসের ওরফে রুবেল।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী পলাতক রয়েছেন। বাকি পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, হোসেন আলী হত্যা মামলায় ১০ জেএমবি সদস্যকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু চার্জশিট দাখিলের আগেই পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' চার আসামি নিহত হন। বাকি ছয় জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ সকালে কুড়িগ্রাম শহরের কৃষ্ণপুর গড়েরপার এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়ার পর জেএমবি জঙ্গিরা হোসেন আলীকে কুপিয়ে হত্য করে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আটকানোর চেষ্টা করলে হত্যাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ওই দিনই অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে রুহুল আমিন আজাদ।
আদালতের রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহত হোসেন আলীর ছেলে রুহুল আমিন আজাদ। তিনি বলেন, 'মামলার রায় আসায় আমরা খুশি। আমরা চাই দ্রুত রায় কার্যকর হোক।'
কুড়িগ্রাম জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, 'রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে হোসেন আলীকে হত্যা করা হয়। এটা কোনো সাধারণ খুন ছিল না। একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ হত্যাকাণ্ড হয়। আসামিরা আদালতে তাদের জবানবন্দিতে তা স্বীকার করেছেন।'
পূর্বপশ্চিম- এনই