সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবীরসহ ৯ জনের কারাদণ্ড
ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীরসহ ৯ জনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সম্পর্কিত খবর
দণ্ডিত ৯ আসামি হলেন সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবীর, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান ও সাইফুল হাসান এবং প্যারাগন নিট কম্পোজিট লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা ও পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম জানান, আত্মসাতের দায়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই জরিমানা রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হবে।
আর প্রতারণার দায়ে প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড না দিলে তাদের আরও তিন মাস করে কারাভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় মাইনুল হক, সফিজ উদ্দিন, শেখ আলতাফ ও কামরুল হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
২৭ লাখ ৫০ হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান রমনা মডেল থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২২ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান।
এ মামলার আসামিরা হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে দায়ের করা দুদকের বিভিন্ন মামলারও আসামি।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হল-মার্ক গ্রুপ জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় হুমায়ুন দেশের সবচেয়ে বড় এ ব্যাংকের এমডি ও সিইওয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
এ আগে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাতের আরেক মামলায় ২০২১ সালে হুমায়ুন কবীরসহ ১১ জনকে মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালত।
পূর্বপশ্চিম- এনই