আমাকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে: জায়েদ খান

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের আদেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এ দিন জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের সাধারণ সম্পাদক পদও স্থগিত করা হয়। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

জায়েদ খান বলেন, আমি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনে জয়লাভ করেছি। নিপুণের সব অভিযোগ মনগড়া। নির্বাচনের শুরুতেই আমাকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেটাও তাদের একটা কৌশল ছিল। শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে আমার পথ রোধ করার চেষ্টা করেছে তারা। আমি পর পর দুইবার শিল্পীদের ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছি। তৃতীয়বারও জিতেছি। ২৯ তারিখে তাদের দাবিতে আমাদের সবার উপস্থিতিতে ব্যালট পুর্নগণনা হলো। সেখানেও আমার জয় নিশ্চিত হয়েছে। চূড়ান্তভাবে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের তফসিল অনুযায়ী ৩০ তারিখে চূড়ান্ত ঘোষণা পর নির্বাচন কমিশন অকার্যকর হয়ে যায়। এরপর তারা নিজেরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে যেটা সংবিধান ও তফসিলে কোথাও উল্লেখ নাই। এরপর আমাকে কোনো নোটিশ করেন নাই সোহান ভাই। উনি নিজে নিজেই নিপুণকে নিয়ে একটা মিটিং ডেকে বিচারক হয়েও নিপুণকে হাত ধরে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

অভিনেতা বলেন, আমি নাকি ২ হাজার টাকায় ভোট কিনেছি। মাত্র ২ হাজার টাকায় কোনো শিল্পীর ভোট কেনা যায়! এ অভিযোগ তুলে নিপুণ সমস্ত শিল্পীকে অপমান করেছেন।

পূর্বপশ্চিম/এসকে