রাজনীতিকদের ‘মিথ্যা বলা’ নিষিদ্ধ করবে ওয়েলশ
ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানকারী পার্লামেন্ট (সেনেড) সদস্যদের অপসারণে একটি আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি নিচ্ছে ওয়েলশ সরকার। মঙ্গলবার সেনেডে সরকারের কাউন্সেল জেনারেল মিক অ্যান্টোনিউ অঙ্গীকার করেছেন ২০২৬ সালের মধ্যে এই আইন প্রণয়ন করা হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ওয়েলশ সরকারের প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো রাজনীতিকদের মধ্যে সততা নিশ্চিত করা এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা। ২০২৬ সালের মধ্যে আইনটি প্রণয়ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি কার্যকর হলে মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীদের সেনেড থেকে অপসারণ করা যাবে।
সম্পর্কিত খবর
মিক অ্যান্টোনিউ বলেছেন, ওয়েলশ সরকার ২০২৬ সালের আগেই এমন আইন প্রণয়ন করবে, যার মাধ্যমে একটি স্বাধীন বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত প্রতারণার জন্য দোষী প্রমাণিত সদস্য ও প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। এটি বাস্তবায়নের জন্য কমিটিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
তিনি আরও বলেছেন, আমি এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ওয়েলশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমি মনে করি এখন পুরো সেনেড একসঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার সকালেই প্লেড সিম্রু পার্টির নেতা অ্যাডাম প্রাইস তার দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবের একটি সংস্করণ পেশ করেছেন। তবে প্রস্তাবটি ভোটে যাওয়ার আগেই লেবার সরকার ঘোষণা দেয় যে, তারা পরবর্তী সেনেড নির্বাচনের আগে নিজস্ব আইন প্রণয়ন করবে।
অ্যাডাম প্রাইস বলেছেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের কথার প্রতি জনগণের আস্থা সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। গণতন্ত্রে আস্থা কীভাবে পুনরুদ্ধার ও রক্ষা করা যায়, এই বিষয়ে আমরা সবাই একমত এবং এটিই এই প্রস্তাবের অনুপ্রেরণা।
সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা অ্যাডাম প্রাইস আরও বলেছেন, এই আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে মিথ্যা বলায় রাজনীতিবিদদের নিষিদ্ধ করা প্রথম দেশ হবে ওয়েলশ।