১৪ বছর আগের মন্তব্যের জন্য জেলে যাবেন অরুন্ধতী রায়?
![](/assets/news_photos/2024/06/19/Untitled-2 copy-image-1718736597.jpg)
১৪ বছর আগের করা এক মন্তব্যের জেরে এবার কি সত্যিই জেলে যাবেন ভারতের বুকার পুরস্কারজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায়। তার বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইউএপিএ-র অধীনে মামলা শুরু করার অনুমতি পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
২০১০ সালে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির জন্য গঠিত সমিতি আয়োজিত এক সম্মেলনে অরুন্ধতী রায় বলেছিলেন, কাশ্মীর কখনই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল না। এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য। এমনকি ভারত সরকারও এটা মেনে নিয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই সভায় উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন অরুন্ধতী রায়। এর প্রেক্ষিতেই দিল্লি পুলিশ অরুন্ধতীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত করছে। যথাসময়ে তদন্ত শেষ করতে না পারায় কয়েকটি মামলা তামাদিও হয়ে গেছে। সেই মামলাই নতুন করে শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা।
২০১৬-২০২০ সময়কালে চব্বিশ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির উপরে ইউএপিএ আরোপ হয়েছিল, তাঁদের সাতানব্বই শতাংশই জেলবন্দি হয়ে আছেন, অপরাধী প্রমাণ হয়েছেন ২১২ জন। কারণ, এই মামলায় জামিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
প্রশ্ন উঠেছে, অরুন্ধতীর ওই মন্তব্যের ফলে কাশ্মীরে অস্থিরতার নিদর্শন মিলেছে? বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের কোনও সংযোগ মিলেছে তাঁর বক্তব্যের? এমন কোনও প্রমাণ আদালতে কখনও পেশ করা হয়নি, জনসমক্ষেও আসেনি। বরং এ বছরের সাধারণ নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয়েছে কাশ্মীরে।
এর মধ্যে এমন কী নতুন সাক্ষ্যপ্রমাণ খুঁজে পেল পুলিশ, যার ভিত্তিতে ১৪ বছর আগের একটি বক্তৃতার জন্য ইউএপিএ-র মতো কঠোর ধারা আরোপ করার দরকার পড়ল? সে বিষয়ে কিছুই প্রকাশ করেনি পুলিশ। ফলে যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে তা হলো, এই ধারার প্রয়োগ কি ন্যায়বিচারের প্রয়োজনে, নাকি রাজনৈতিক?