• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

গাজার আল-শিফা হাসপাতালে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান

প্রকাশ:  ০৯ মে ২০২৪, ১০:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের অভ্যন্তরে তৃতীয় গণকবরের সন্ধান পেয়েছে মেডিক্যাল প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে ৪৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আল-শিফা হাসপাতালে নতুন একটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। তৃতীয় এই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও লাশের খোঁজে অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা এখনও চলছে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর আহতের সংখ্যা ৭৮ হাজার ছাড়িয়েছে।

ইসরায়েলি অভিযান থেকে রেহাই পায়নি গাজার হাসপাতালগুলোও। মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানের পর এখন পর্যন্ত সাতটি হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। আল-শিফা হাসপাতালে তিনটি গণকবর, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে তিনটি এবং উত্তর গাজার কামেল আদওয়ান হাসপাতালে একটি গণকবর পাওয়া গেছে। সাতটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের মারাত্মক আক্রমণ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে গাজা উপত্যকা শাসনকারী দল হামাস। গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নতুন গণকবরের আবিষ্কার আমাদের জনগণ এবং চিকিৎসাখাতের বিরুদ্ধে অপরাধী দখলদার সেনাবাহিনীর বর্বরতার নতুন প্রমাণ।’

হামাস আরও বলেছে, ‘(ইসরায়েলি) দখলদারিত্ব তাদের নির্মূল ও বাস্তুচ্যুতির পরিকল্পনা অর্জনের জন্য (গাজায়) মানুষের জীবনের ভিত্তি ধ্বংস করতে চায়।’

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীটি সমস্ত মানবাধিকার গোষ্ঠীকে ইসরায়েলের এই অপরাধ নথিভুক্ত করার পাশাপাশি ইসরায়েলের দুর্বৃত্ত সত্তা ও অপরাধী নেতাদের জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং অন্যান্য উপযুক্ত আদালতে সেগুলো পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, গাজায় সাত মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেই সঙ্গে অঞ্চলটির ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

জাতিসংঘ আরও বলছে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়াও খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইসিজে একটি অন্তর্বর্তী রুল জারি করে তেল আবিবকে গণহত্যামূলক কাজ বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদানের গ্যারান্টি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।

গাজা,আল-শিফা,গণকবর
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close