• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রাখাইন থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা

প্রকাশ:  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৫৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

চলমান সংঘাতে ব্যর্থতার কারণে উত্তর রাখাইন থেকে কৌশলগতভাবে মিয়ানমার জান্তা সৈন্য প্রত্যাহার করছে বলে জানিয়েছে আরাকান আর্মি (এএ)।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দাবি, মাইবোন টাউনশিপের দুটি পাহাড়ের চূড়া থেকে দক্ষিণে বাহিনী স্থানান্তরিত করছে সামরিক বাহিনী। এজন্য তারা সামরিক স্থাপনা পুড়িয়ে দিয়েছে।

তবে এএ বলছে, ভেতরে থাকা সৈন্যরা আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত জান্তা লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়ে যাবে তারা।

সামরিক সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, চীনা সীমান্তের একটি কৌশলগত শহর ছেড়ে আসায় ওই অঞ্চলে দায়িত্বে থাকে তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জান্তা।

কয়েক মাস যুদ্ধের পর শত শত সৈন্য অস্ত্র ফেলে পালিয়েছে। শান রাজ্যের লাউকাই শহরটি থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের কাছে হস্তান্তর করে ওই এলাকা ছেড়ে দিয়েছে জান্তা।

ওই আত্মসমর্পণটি ছিল কয়েক দশকের মধ্যে সামরিক বাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় একক ক্ষতির একটি।

আত্মসমর্পণের পর জোটের পক্ষ থেকে অফিসার ও তাদের সৈন্যদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।

আরও একটি সামরিক সূত্র শাস্তি নিশ্চিত করেছে।

দুটি সূত্র জানিয়েছে, লাউক্কাইতে আত্মসমর্পণে ভূমিকা রাখার জন্য অন্য তিন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ রাখাইনে বিশেষ করে রামরিতে বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ জোরদার করে চলে সামরিক জান্তা। নাগরিকদের ওপর গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আরাকান আর্মির অভিযোগ, সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসবাদ অবলম্বন করেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।

বাহিনীগুলো হল- তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ।

আন্তর্জাতিক,মিয়ানমার,যুদ্ধ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close