• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

মিয়ানমার সীমান্তে সকাল থেকে গুলির শব্দ, টেকনাফে আতঙ্ক

প্রকাশ:  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৮
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গোলাগুলির প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

ঘটনার পর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

হায়কং সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা শাহিন আলম বলেন, “সকাল থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যাওয়ায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।”

কেনকং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, “নাফ নদীর ওপারে গুলির শব্দ শোনা গেছে। জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে কোনো মানুষ যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।”

বিজিবির টেকনাফের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সীমান্তে কয়েকটি স্থানে গোলাগুলির খবর পেয়েছি। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় সীমান্তে গুলিবর্ষণ কমেছে। এ পর্যন্ত ১৩৭ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আরাকান আর্মিসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী সাম্প্রতিক সপ্তাহে বাংলাদেশের সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় যুদ্ধ জোরালো করেছে। তারা সম্মিলিতভাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।

এর মধ্যে তারা কোনো কোনো সীমান্ত শহর দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বিজিপির ২৩০ সদস্য। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরের শেষ দিক থেকে মিয়ানমারের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী একজোট হয়ে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।

বাহিনীগুলো হল- তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ।

মিয়ানমার,যুদ্ধ,টেকনাফ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close