দাবানল: চিলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
দাবানলের কারণে চিলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এ দাবানলে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক বলেন, দাবানল ঠেকাতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
দাবানলে হাজার হাজার হেক্টর বন পুড়ে গেছে। ধোঁয়ার ঘন কুয়াশায় উপকূলীয় শহর আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ভিনা দেল মার ও ভালপারাইসোর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, দাবানলে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভালপারাইসোর জাতীয় বনায়ন কর্পোরেশনের পরিচালক লিওনার্দো মোডার বলেন, “প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে।”
তিনি বলেন, “বাতাসের সঙ্গে পাতা, কাঠের টুকরো ভেসে আসছে।”
গ্রীষ্মকালীন তাপপ্রবাহ ও খরার কারণে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে দাবানলের ঘটনা ঘটছে।
বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, পৃথিবীর উষ্ণতার কারণে তীব্র তাপ ও দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
চিলির রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমে এস্ট্রেলা ও নাভিদাদ শহরে আগুনে প্রায় ৩০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। বাসিন্দাদের পিচিলেমুর সার্ফিং রিসর্টের কাছে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
৬৩ বছর বয়সী ইভন গুজম্যান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “আগুনের শিখা কুইলপুয়ে আমার বাড়িতে আসতে শুরু করলে আমরা পালিয়ে যাই।”
তিনি বলেন, “আমরা বাড়ি খালি করেছি কিন্তু আমরা এগোতে পারছি না। অনেকেই বের হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে পারছে না।”
চিলির জাতীয় বন কর্তৃপক্ষের (সিওএনএএফ) মতে, শুধুমাত্র ভালপারাইসোতেই ইতিমধ্যেই প্রায় ৭,০০০ হেক্টর (১৭,৩০০ একর) পুড়ে গেছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল সৈকতে যাওয়ার জন্য ব্যবহারের সড়কেও অগ্নিশিখা দেখা গেছে। ভালপারাইসোকে রাজধানী সান্তিয়াগোর সাথে সংযুক্ত করা রাস্তাটি শুক্রবার কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দেয়।
ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে এরই মধ্যে বিপাকে চিলি এবং কলম্বিয়া। সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এর প্রভাব আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং ব্রাজিলের ওপরও পড়তে পারে।