ইরান: যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ করলে তার জবাব দেওয়া হবে
ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি আমরা শুনেছি। এমন নয় যে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এমন হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা দুই পক্ষই দুই পক্ষকে চিনি। ফলে যুক্তরাষ্ট্র যেন মনে রাখে, তারা আক্রমণ করলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। প্রত্যুত্তর দেওয়া হবে।”
ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেছেন, “ইরানের ওপর আক্রমণ হলে সঙ্গে সঙ্গে তার জবাব দেওয়া হবে।” তার বক্তব্য, “যুক্তরাষ্ট্র এভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। আগেও ইরানের ওপর শক্তি প্রয়োগ করেছে। তাতে কোনো লাভ হয়নি। একমাত্র সমাধানসূত্র রাজনৈতিক আলোচনায়।”
সম্পর্কিত খবর
এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, “জর্ডানে মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে যে আক্রমণ হয়েছিল, তার জন্য দায়ী ইরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এর জবাব দেওয়া হবে।”
একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি যুদ্ধ তিনি চান না। কৌশলী আক্রমণ চালানো হবে অপরাধীদের ওপর। কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে নামবে না যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, বহুস্তরীয় আক্রমণ চালানো হবে। সমস্ত কৌশল বাইডেনের উপস্থিতিতে তৈরি করা হচ্ছে।
বুধবার হোয়াইট হাউস আবার জানিয়েছে, ৪৮ ঘণ্টা হয়ে যাওয়ার পরেও আক্রমণ হচ্ছে না মানে এই নয় যে, আক্রমণ হবে না। দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। অতি শীঘ্রই দেওয়া হবে।
বস্তুত, এ দিন আক্রমণকারীদের বিষয়ে আরও স্পষ্ট তথ্য দিয়েছে হোয়াইট হাউস। তাদের বক্তব্য, ইরানের মদতে একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। একই ছাতার তলায় তারা অবস্থান করছে। তারাই জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইরান এই গোষ্ঠীগুলিকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েল গাজা অভিযান শুরু করার পর সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করেছে। ওই জায়গাগুলোতে বার বার আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এমনকি তারা জর্ডানেও আক্রমণ চালিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার জানিয়েছে, হুতি যোদ্ধাদের একটি রকেট তারা ধ্বংস করেছে। অভিযোগ, ওই মিসাইলটি লঞ্চিং প্যাডে বসানো হচ্ছিল। আগাম খবর পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেখানেই মিসাইলটি ধ্বংস করে।
এদিকে বুধবার রাতে সিরিয়ায় আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান। সিরিয়ার সেনার বেশকিছু সামরিক কাঠামো তারা ধ্বংস করেছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। সিরিয়া থেকে ইসরায়েলে আক্রমণ চালানো হচ্ছিল বলে তাদের অভিযোগ।