• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

চেয়ারপারসন খাড়গে, আহ্বায়ক পদ নীতীশ নেবেন কি

প্রকাশ:  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৬
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ভারতের বিজেপিবিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র চেয়ারপারসন করা হলো কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। এই জোটের আহ্বায়ক করা হয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জেডি (ইউ) সভাপতি নীতীশ কুমারকে। কিন্তু নীতীশ ওই পদ গ্রহণ করতে নিমরাজি। ইন্ডিয়া জোটের নেতারা আজ শনিবার ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, নীতীশ কুমার বলেছেন, তিনি এখনই ওই পদ গ্রহণ করছেন না। সবাই সর্বসম্মত হলে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। ভার্চ্যুয়াল ওই বৈঠকে অংশ নিতে কংগ্রেস সদর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন এনসিপি সভাপতি শারদ পাওয়ার, ডিএমকে সভাপতি ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ জোটের বিভিন্ন দলের নেতারা। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বৈঠকে অংশ নেননি। মমতা গত শুক্রবারই জানিয়েছিলেন, মাত্র ১৬ ঘণ্টা আগে বৈঠকের খবর তাঁকে জানানো হয়েছিল। নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তাঁর পক্ষে বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব হবে না।

নীতীশকে জোটের আহ্বায়ক করার প্রস্তাব অনেক দিনের। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভবপর হয়নি। কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলেশ যাদব জোটের হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে খাড়গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। সেই ঘোষণা নীতীশ পছন্দ করেননি। কংগ্রেসসহ অন্য শরিকেরাও এমন ঘোষণার বিরোধিতা করে বলেছিলেন, ‘ইন্ডিয়া’ জোট আগে থেকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে ভোটে লড়বে না। খাড়গে নিজে বলেছিলেন, আগে প্রয়োজন পর্যাপ্ত এমপির জিতে আসা। সেটা না হলে বাকি সব প্রশ্ন অবান্তর।

ওই ঘটনার পর নীতীশ জেডি (ইউ) দলের রাশ নিজের হাতে নেন। নিজেই সভাপতির পদ গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার শুরু হয়, ভোটের আগে নীতীশ আরও একবার বিজেপির হাত ধরতে চলেছেন। এই নিয়ে বিহারের রাজনীতি ও ‘ইন্ডিয়া’ জোটে কিছুটা জল্পনা সৃষ্টি হয়।

জল্পনার পাশাপাশি জটিলতাও রয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে শরিকদের আলোচনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দিল্লি ও পাঞ্জাব নিয়ে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের দুই দফা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। মহারাষ্ট্র নিয়ে কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব) ও এনসিপির মধ্যে কথা চলছে।

টানাপোড়েনের মীমাংসা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের জট কীভাবে ছাড়বে, এখনো অজানা। কংগ্রেসকে তৃণমূল দুটির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। ওই রাজ্যে কংগ্রেস আবার স্থানীয় পর্যায়ে সিপিএমের সঙ্গে জোটবদ্ধ। কিন্তু সিপিএমকে আসন ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। কেরালায় কংগ্রেস ও সিপিএম কী করবে, কেউ জানে না। সব মিলিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ এখনো জোটবদ্ধভাবে বিজেপির বিরোধিতায় নামতে পারেনি।

বিজেপি কিন্তু এগিয়ে চলেছে। সংসদের অধিবেশন তারা এগিয়ে আনছে। ৩১ জানুয়ারি বাজেট অধিবেশন ডাকা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখে অধিবেশন শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে আগামী অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, সংসদের ওই সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের পর লোকসভা ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সরকার এবার ভোট এগিয়ে আনতে চায়। ২০১৯ সালে ভোট হয়েছিল এপ্রিম–মে মাসজুড়ে। এবার মার্চ–এপ্রিলে করতে আগ্রহী।

এশিয়া,তৃণমূল,কংগ্রেস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close