তাইওয়ানে ভোটে প্রভাব খাটাতে নতুন কৌশল চীনের!
জাতীয় নির্বাচনের আগে চীনের পক্ষে প্রচারণা চালাতে তাইওয়ানের একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড দলকে বেইজিং চাপ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সম্পর্কিত খবর
তাইওয়ানের নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স বলছে, গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান চীনের অংশ বলে প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছিল তাইওয়ানের রক ব্যান্ড মেডেকে। তবে ওই সূত্র নিজের নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
তবে ওই ব্যান্ড সদস্যরা চীনের কথায় রাজি হননি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) চীনের সমালোচনা করে বলেছে, এটি আবারও প্রমাণ করেছে, কীভাবে বেইজিং ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
প্রতিবাদ জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং (কেএমটি)। তারা চীনের নিন্দা জানিয়ে এই বিষয়ে বেইজিংয়ের মন্তব্য জানতে চেয়েছে।
রয়টার্স এই বিষয়ে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের কাছে জানতে চাইলে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা জানায়, মেডের উদ্ধৃতি দিয়ে যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে তা ভুয়া ও ডিপিপি গুজব ছড়াচ্ছে।
তাইওয়ানের নিউজ এজেন্সি ইউনাইটেড ডেইলি নিউজের প্রতিবেদনে এই ঘটনাকে অশুভ ও রাজনৈতিক কারসাজি বলে অভিহিত করা হয়েছে।
তাইওয়ানিজ শিল্পীদের অন্যতম সফল ব্যান্ড মেডে। সাম্প্রতিককালে চীনের পক্ষে রাজনৈতিক প্রচার চালাতে তাইওয়ানের তারকাদের ওপর বেইজিং চাপ বাড়াচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা কর্মকর্তারা ব্যান্ডটিকে চীনের মিডিয়ায় যোগ দিতে বলেন।
তাইওয়ানের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা তাদের গোয়েন্দা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও আইনসভা নির্বাচনের আগে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চীনের প্রচার বিভাগের নেতৃত্বে প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
চীনা কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস এভাবে তারা তাইওয়ানে তরুণদের ভোটকে প্রভাবিত করতে পারে, জানান ওই কর্মকর্তারা।
তাইওয়ানের কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বারবার সতর্ক করেছেন, বেইজিং নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে ও চীনপন্থী প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করছে।
এমনকি এ জন্য তাইওয়ানের রাজনীতিবিদ এবং সামরিক বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা অথবা লেনদেনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে।
তাইওয়ানকে নিজের বলে দাবি ও ডিপিপিকে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে অভিহিত করে বেইজিং।
তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে উল্লেখ করতে সাম্প্রতিক বছরে তাইওয়ানের তারকা, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নানাভাবে চাপ দিচ্ছে চীন।