বাংলা ভাষার ঐতিহ্য ছড়িয়ে দিতে সহযোগিতা করবে ভারত
বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে বাংলার দুই প্রান্তের এবং সারা বিশ্বের সকল যুবকদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে ভারত সরকার।
রবিবার ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ের উদ্যোগে আয়োজিত 'বাঙালি উৎসবে' এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরয়।
সম্পর্কিত খবর
নয়াদিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কে বাঙালি কলোনির বিপিন চন্দ্র পাল অডিটোরিয়ামে উৎসবের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
উৎসব কমিটির উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ রিজার্ভের সাবেক গভর্নর ডক্টর আতিউর রহমান বলেন, বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিবেক দেবরয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষার স্বীকৃতি ও বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় সংগ্রামের কথা স্মরণ করেন।
ভাষাকে একটি সমাজের শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিফলন উল্লেখ করে তিনি দুই দেশের তরুণদের বাংলা ভাষাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও ভারতের অর্থনীতি উর্ধ্বমুখী গতিপথে রয়েছে যা ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই জনগণের সুবিধার জন্য প্রচুর প্রকল্প চালু করতে সহায়তা করে, ডক্টর রহমান বলেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতিও সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ভালো করছে। দুই দেশের মধ্যে নিখুঁত বোঝাপড়া জনগণের জন্য উপকারী হয়েছে।
তিনি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সাধারণ মানুষের জন্য ফল দিয়েছে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে সামনে রেখে দুই দেশের উৎসবগুলো সমৃদ্ধ বন্ধনের সাক্ষ্য বহন করে।”
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস, নয়াদিল্লির বাংলাদেশ মিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদও দুই দেশের সম্পর্ক বিশদভাবে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম ও ঢাকা পদাতিক নাট্যদলের সভাপতি মিজানুর রহমান। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া হিস্ট্রি অ্যান্ড হেরিটেজ কাউন্সিল এবং বিহু ক্রিয়েশনের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী 'বাংলা উৎসব' আয়োজন করা হয়।