• রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ইন্দোনেশিয়ায় সিরাপ ও তরলজাতীয় ওষুধ বিক্রি বন্ধ

প্রকাশ:  ২০ অক্টোবর ২০২২, ১৯:২৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় ৯৯ শিশুর মৃত্যুর পর সব ধরনের সিরাপ ও তরলজাতীয় ওষুধ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির সরকার জানিয়েছে, কিছু সিরাপে এমন উপাদান পাওয়া গেছে, যা কিডনিতে গুরুতর জটিলতার সৃষ্টি করে। এসব সিরাপ খেয়ে এ বছর ৯৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা কিডনি জটিলতায় ভুগছে, এমন ২০০ শিশুর কথা জানতে পেরেছেন। তাদের বেশির ভাগেরই বয়স পাঁচ বছরের নিচে।

এ মাসের শুরুর দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গাম্বিয়ায় ৭০ শিশুর মৃত্যু সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারটি সিরাপের বিষয়ে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, এসব সিরাপ ভারতীয় একটি ওষুধ কোম্পানির ছিলো। এগুলোতে ‘অতিরিক্ত মাত্রায়’ ডাই–ইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া যায়। ‘গুরুতর কিডনি জটিলতার পেছনে সিরাপগুলো কারণ হওয়ার ‘জোর সম্ভাবনা’ রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন বলেন, স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত কিছু ওষুধে একই ধরনের রাসায়নিক যৌগের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত পাঁচ বছরের কম বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কিছু সিরাপে ডাই–ইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যা থাকার কথা নয় বা থাকলেও খুব কম। তবে কতো শিশু এ ধরনের ওষুধের কারণে অসুস্থ, তা জানা যায়নি।

ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাম্বিয়ায় যেসব কাশির সিরাপ ব্যবহার করা হয়েছিলো, তা এখানে বিক্রি করা হয়নি। একজন মহামারি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, যতো শিশুর কথা বলা হচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে বেশি হবে।

গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মহামারি বিশেষজ্ঞ ডিকি বুডিম্যান বিবিসি ইন্দোনেশিয়াকে বলেন, আমরা যা জানতে পেরেছি, তা প্রকৃত অবস্থার তুলনায় খুবই কম। যার মানে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

কোন ব্র্যান্ড বা ধরনের সিরাপ শিশুদের অসুস্থতার জন্য দায়ী, তা ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি। তবে সাময়িকভাবে সব ধরনের সিরাপ ও তরলজাতীয় ওষুধ বিক্রি ও ব্যবস্থাপত্রে এ ধরনের ওষুধের নাম লেখা নিষিদ্ধ করেছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

বন্ধ,ইন্দোনেশিয়া,সিরাপ,বিক্রি,ওষুধ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close