দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ
দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ। শুক্রবার ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালের হাজার হাজার বাসিন্দাকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এ কারণে ইউরোপের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের দাবানল নিয়ন্ত্রণে গত মঙ্গলবার থেকে এক হাজারের বেশি অগ্নিনির্বাপন কর্মী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এয়ারক্রাফট থেকে পানি ফেলা হচ্ছে। তবে তীব্র তাপ, গুমোট পরিবেশ এবং শক্তিশালী বায়ুর কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা মুশকিল হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার পর্তুগালের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও এখনও দেশটির কিছু স্থানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। পাঁচটি জেলায় লাল সতর্কর্তা জারি করা হয়েছে। ১৭টি এলাকায় দাবাদল নিয়ন্ত্রণে এক হাজারেরও বেশি অগ্নিনির্বাপণ কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
পর্তুগালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ৭ জুলাই থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৩৮ জনের বেশি মৃত্যু রেকর্ড করেছেন। এসব মৃত্যুর জন্য তারা প্রচণ্ড গরম এবং অত্যন্ত শুষ্ক আবহাওয়াকে দায়ী করেছেন।
স্পেনের পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা দেশজুড়ে ১৭টি এলাকায় দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কার্লোস তৃতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, রবি ও সোমবার তাপপ্রবাহের প্রথম দুদিনে কমপক্ষে ৪৩ জন মারা গেছে।
এদিকে, ৭০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কারণে ইতালির দীর্ঘতম নদী পো এর কিছু অঞ্চল শুকিয়ে গেছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পো নদীর তীরবর্তী অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
অপরদিকে, ব্রিটেনের আবহাওয়া দপ্তর প্রথমবারের মতো ‘চরম আবহাওয়ার’ কারণে ইংল্যান্ডের কয়েকটি এলাকায় সোম ও মঙ্গলবার লাল সতর্কতা জারি করেছে।
আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ পল গুন্ডারসেন বলেছেন, ‘ব্যতিক্রম, সম্ভবত আগামী সপ্তাহের শুরুতে রেকর্ড তাপমাত্রা হতে পারে। রাতগুলোও ব্যতিক্রমীভাবে উষ্ণ হতে পারে, বিশেষ করে শহুরে এলাকায়। এটি সম্ভবত জনগণ ও অবকাঠামোর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে।’
পূর্বপশ্চিমবিডি/এআই