• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আমিরাতে ১৫ জুন থেকে ৩ মাসের মধ্যাহ্নবিরতি

প্রকাশ:  ১৪ জুন ২০২২, ১৭:২৯
ইউএই প্রতিনিধি

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে দেশটিতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য আগামী ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসের গ্রীষ্মকালীন সময়ে মধ্যাহ্নবিরতি আইন করেছে আমিরাত সরকার।

দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, এ তিন মাস আমিরাতের স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বাইরে কোন কাজ করা যাবে না। বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিক বা অফিসের বাইরে কাজ করার ব্যাপারে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

সম্পর্কিত খবর

    পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন মধ্যাহ্নবিরতির কারণে শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা কমে এলেও বেতন কাটা যাবে না। বরং পূর্ব নির্ধারিত মাসিক বেতনই সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে হবে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মুহসেন আল নাসি জানান, পোশাগত স্বাস্থ্য ও নািপত্তার কথা বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের মধ্যাহ্নবিরতি বাড়ানো হয়েছে। ১৫ জুন থেকে আগামী সেপ্টেম্বরের ১৫ পর্যন্ত রোজ ১২টা ৩০ মিনিট থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মধ্যাহ্নবিরতির সময় ঘোষণা করেছে মন্ত্রণালয়।

    তবে যেসব কাজ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতেই হবে, সে কাজগুলো মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের আওতাভুক্ত নয়। মূলত গ্রীষ্মকালে অত্যধিক গরমে শ্রমিকদের হিটস্ট্রোক বা অসুস্থ হয়ে যাওয়া থেকে সুরক্ষা করতেই দুপুরে এ বিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইউএই মন্ত্রণালয়। বিরতির সময় সরকার ও বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রচার করা হবে। পাশাপাশি কর্মীদের সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠানগুলোয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা করার আহ্বান জানায় মন্ত্রণালয়।

    আইন অমান্য করে নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত ওই সময়ে কোন শ্রমিককে দিয়ে কাজ করালে আর তা হাতেনাতে ধরতে পারলে ৫০ হাজার দিরহাম জরিমানা ওই কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানকে। পাশাপাশি শ্রমিকের জন্যও রাখা হয়েছে ৫ হাজার দিরহাম জরিমানার বিধান।

    প্রসঙ্গত, চলতি জুন মাস থেকে দেশটিতে ৪০ থেকে ৪৮/৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। ফলে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে, এ আশঙ্কা থেকে শ্রমিকদের নিরাপত্তায় এ আইন কার্যকর করা হয়েছে বলে জানায় দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। দেশটিতে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি।

    পূর্বপশ্চিম- জাহিদ/ এনই

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close