• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

লন্ডনে রেলস্টেশনের নাম লেখা হলো বাংলায়

প্রকাশ:  ১৪ মার্চ ২০২২, ০১:৪৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

প্রথমবারের মতো পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার একটি পাতাল রেলস্টেশনের নাম লেখা হয়েছে বাংলায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ব্যস্ততম হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনটির নাম ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা অক্ষরে শোভা পাচ্ছে। এটি যুক্তরাজ্যে বাংলায় রেলস্টেশনের নাম লেখার প্রথম ঘটনা।

বিভিন্ন তরফ থেকে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নামটি বাংলায় লেখার সিদ্ধান্ত নেয় ট্রান্সফোর্ড ফর লন্ডন অথরিটি (টিএফএল)। লন্ডনের ব্যস্ততম এই এলাকার স্টেশনটির নাম বাংলায় লেখার বিষয়টিকে অত্যন্ত গৌরবের ও ইতিহাস সৃষ্টিকারী অর্জন বলে মনে করছেন প্রবাসীরা। তাঁরা বলছেন, বহু ভাষাভাষীর এই লন্ডনে স্টেশনে লাগানো বর্ণগুলো যুগ যুগ ধরে বাংলা ও বাঙালির শক্তি ও সামর্থ্যের জানান দেবে।

স্টেশনের একাধিক প্রবেশদ্বারে বাংলায় ‘হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন’লেখার পাশাপাশি স্টেশনের প্রবেশপথে ‘হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে আপনাকে স্বাগত’ কথামালাও শোভা পাচ্ছে।

প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের সংস্কারকাজ চলছে। হিথ্রো বিমানবন্দরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনে চালু হতে যাওয়া কুইন এলিজাবেথ লাইনের সংযোগ থাকছে এই স্টেশনে। সংস্কারকাজ চলার এই সুযোগে স্টেশনের নামটি বাংলায় লেখার দাবি ওঠে।

স্থানীয় শ্যাডওয়েল এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী এ দাবি জানিয়ে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র, লন্ডন মেয়র, স্থানীয় এমপিসহ টিএফএলের কাছে চিঠি লেখেন। ব্রিটিশ বাংলাদেশি পাওয়ার অ্যান্ড ইন্সপিরেশনের (বিবিপিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও কাউন্সিলর আব্দাল উল্লাহ ও সাপ্তাহিক জনমতসহ অনেকেই এ নিয়ে দাবি তোলেন।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র জন বিগস এই দাবিতে একাত্মতা পোষণ করেন। শুরুতে লন্ডন মেয়র অফিস ও টিএফএল বাজেটের অভাব দেখিয়ে দাবিটি নাকচ করে দেয়। তবে মেয়র জন বিগস স্থানীয় কাউন্সিলের পক্ষ থেকে এর খরচ বহন করার প্রস্তাব দিলে টিএফএল তাতে রাজি হয়। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি টিএফএল আবদুল কাইয়ূম চৌধুরীর চিঠির যে জবাব দিয়েছিল তাতেই বাংলায় স্টেশনের নাম লেখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। প্রতিক্রিয়ায় আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, ‘অনেক আগে থেকে ভারতীয় অধ্যুষিত সাউথহল স্টেশনের নামটি হিন্দিতে লেখা আছে, যা দেখে আমার মনে হতো, কেন বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় স্টেশনের নাম বাংলায় থাকবে না। সে কারণেই আমি চিঠি লিখেছিলাম।’

একই চিঠিতে স্থানীয় কেব্‌ল স্ট্রিটের একটি বাসস্টপে বসার বেঞ্চ ও ছাউনির অনুরোধও করেছিলেন তিনি। তাঁর সেই অনুরোধও রাখা হবে বলে জানিয়েছে টিএফএল।

সাপ্তাহিক জনমত সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, ‘বাংলাদেশি অভিবাসনের ইতিহাসে এটি নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। যাঁরা বাংলা পড়তে পারেন না, তাঁদের কাছেও এই ভাষার শক্তি ও সামর্থ্যের কথা পৌঁছে যাবে।’

পূর্বপশ্চিম- এনই

লন্ডন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close