দেশের জন্য অস্ত্র হাতে মিস ইউক্রেন: খবরটি সত্য নয়
রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন মিস গ্রান্ড ইউক্রেন খেতাব জয়ী আনাস্তাসিয়া লেনা। এমন একটি খবর সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।সেই সূত্র ধরে ‘দেশের জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিলেন মিস ইউক্রেন’ শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশ করে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজ। যা মোটেই সত্য খবর নয়।
ভুয়া খবরটিতে বলা হয়, এই সুন্দরী যুদ্ধে শামিল হয়ে হাতে তুলে নিয়েছেন অস্ত্র। ২০১৫ সালে মিস ইউক্রেন খেতাবজয়ী লেনার অস্ত্র হাতের ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
সম্পর্কিত খবর
জানা যায়, দেশকে রক্ষা করতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন আন্তাসিয়া লেনা। এই মডেল তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন, তিনি তার দেশকে রক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে নিয়েছেন।
লেখেন, ‘যে ব্যক্তি দখলদারির উদ্দেশ্যে ইউক্রেন সীমান্তে প্রবেশ করবে তাকে হত্যা করা হবে।’
অন্য একটি পোস্টে আন্তাসিয়া মজা করে বলেন, ‘আমাদের (ইউক্রেন) সেনাবাহিনী যেভাবে লড়াই করছে, ন্যাটোর উচিত ইউক্রেনে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করা।’
আন্তাসিয়া ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির সৈন্যদের সঙ্গে হাঁটার একটি ছবিও শেয়ার করেছেন। দেশের রাষ্ট্রপতিকে ‘শক্তিশালী নেতা’ অভিহিত করেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে আন্তাসিয়ার ফলোয়ার ৭৫ হাজারের বেশি। তার বর্তমানের ছবিগুলোর বেশিরভাগই অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত লেনাকে পাওয়া গেছে। আর এই মডেলের এমন সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের প্রশংসা এখন সামাজিকমাধ্যমজুড়ে।
যদিও অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুরো খবরটিই অসত্য।
ফেসবুকের ফেক্ট চেকার ‘বুম বাংলাদেশ’ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি বিভ্রান্তিকর। বিভ্রান্তিকর এই খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ২৮ ফেব্রুয়ারি ইন্সটাগ্রামে ভিডিও পোস্ট করে প্রাক্তন এই মিস ইউক্রেন নিজেই দাবিটি খণ্ডন করে জানান, তিনি সামরিক বাহিনির সদস্য নন। সার্চ করার পর, আনাস্তাসিয়া লেনার ইন্সটাগ্রাম একাউন্টে অস্ত্র হাতে একাধিক ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। যার মধ্যে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোতে ব্যবহার করা ছবিগুলোও আছে। ইউক্রেনের সাবেক এই মিস গ্র্যান্ডের ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট থেকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অস্ত্র হাতে এমন একটি ছবি পোস্ট করা হয়।মূলত সেই ছবিটিকে কেন্দ্র করেই বিভ্রান্তির শুরু হয়। ইংরেজিভাষী কিছু সংবাদমাধ্যম ছবিটিকে প্রাক্তন মিস ইউক্রেনের রাশিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ নামার ছবি দাবিতে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করে।
পূর্বপশ্চিম- এনই