ইউক্রেনকে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে জার্মানি
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সমালোচনার পর ইউক্রেনকে ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। এর আগে দেশটি বলে আসছিল, সংঘাত কবলিত কোনও দেশে তারা অস্ত্র সরবরাহ করবে না। শনিবারের (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই ঘোষণার ফলে জার্মানি এই নীতি থেকে সরে আসলো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এখবর জানিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশের পর থেকেই কিয়েভ জার্মানির কাছে অস্ত্র দেওয়ার অনুরোধ করে আসছিল। কিন্তু জার্মান সরকার জানায়, তাদের জোট সরকারের সমঝোতা অনুসারে সংঘাত কবলিত অঞ্চলে অস্ত্র সরবরাহ করতে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
অবশ্য অস্ত্র দিতে অস্বীকৃতি জানালেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য নিজস্ব অর্থায়নে একটি সামরিক হাসপাতাল ও পাঁচ হাজার হেলমেট প্রদানের ঘোষণা দেয়। শুক্রবার জার্মান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হেলমেটগুলো কিয়েভের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস টুইটারে ঘোষণা দেন, রাশিয়া হামলা সময়ের একটি বড় পরিবর্তন। পুতিনের আক্রমণকারী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষার জন্য যতটা করি ততটাই ইউক্রেনকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, তাই আমরা ১ হাজার ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র ও ৫০০ স্টিনজার ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের বন্ধু ইউক্রেন সরবরাহ করব।
জার্মানি যখন হেলমেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল তখন কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎচকো ‘কৌতুক’ আখ্যায়িত করে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় বলেছিলেন, এরপর জার্মানি কেমন সহযোগিতা পাঠাবে? বালিশ?।
আর শনিবার ‘স্বার্থপরতা’ ও ‘অহংকার’ দূরে সরিয়ে রেখে ইউক্রেনের জনগণকে যথেষ্ট সমর্থন দিতে জার্মানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পোল্যান্ড। বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিটানাস নওসেদার সঙ্গে বৈঠকের আগে এমন আহ্বান জানিয়েছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতায়ুজ মোরাভিয়েস্কি।
পূর্ব পশ্চিম/জেআর