• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

ওমিক্রন প্রতিরোধে টিকার চতুর্থ ডোজও ব্যর্থ!

প্রকাশ:  ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৭
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুই ডোজ টিকা দেওয়ার পর বুষ্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে গবেষকরা বলছেন, চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হলেও তা ভাইরাসটির আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে পুরোপুরি সফল হবে না।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ইসরায়েলের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানায় বার্তাসংস্থা এএফপি।

ইসরায়েলের শেবা মেডিকেল সেন্টারের গবেষকরা এই গবেষণাটি করেছেন। তবে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। প্রাথমিক রিপোর্টে তারা এই তথ্য দিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নিয়ে এবারই প্রথম কাজ করেছে ইহুদি ওই দেশটির মেডিকেল সেন্টারটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরীক্ষার জন্য প্রায় ১৫০ জন ব্যক্তিকে ফাইজার-বায়োএনটেকেকের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। ১২০ জনকে দেওয়া হয়েছিল মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মডার্নার ভ্যাকসিন।

গবেষণায় অংশ নেওয়া এই ২৭০ জনের সকলেরই তৃতীয় বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা নেওয়া ছিল। পাশাপাশি তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়া একটি দলকে রাখা হয়েছিল। যারা চতুর্থ টিকা পায়নি।

গবেষকরা দেখেছেন, চতুর্থ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের শরীরে অ্যান্টিবডি বেড়েছে। কিন্তু ওমিক্রনের মতো ভ্যারিয়েন্টকে পুরোপুরি নির্মূল করতে তা সক্ষম নয়। অর্থাৎ, চতুর্থ ডোজ নিলেও ওমিক্রন হতে পারে। তবে একইসঙ্গে বলা হয়েছে, তৃতীয় ডোজ নেওয়া ব্যক্তির চেয়ে চতুর্থ ডোজ নেওয়া ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি পাওয়া গেছে।

এদিকে দেশের ২০ শতাংশ রোগীই করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত বলে দেশীয় এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য এবং জিনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্টের প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ​জানান, গত বছরের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশের করোনা রোগীদের ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়। দেশের সব বিভাগের রিপ্রেজেন্টটিভ নিয়ে স্যাম্পলিং করা হয়েছে। গবেষণায় ৯ মাসের শিশু থেকে ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা সব ধরনের রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এতে মোট ৭৬৯ কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।

পূর্বপশ্চিম/এসকে

ওমিক্রন,করোনাভাইরাস
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close