• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ওমিক্রনের ঝুঁকিতে ইউরোপের ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ: ডব্লিউএইচও

প্রকাশ:  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৫৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের প্রভাবে ইতোমধ্যে দৈনিক সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে ইউরোপের দেশগুলোতে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বিপর্যয়ের মাত্র প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে ইউরোপ, সামনে অপেক্ষা করছে আরো ভয়াবহ সময়।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর ইউরোপীয় শাখা কার্যালয়ের প্রধান হ্যান্স ক্লাগ এ সম্পর্কে বলেন, ‘বর্তমানে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, এটি অব্যাহত থাকলে আগামী ৬ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধিভূক্ত বৈশ্বিক স্বাস্থ্যজরিপ সংস্থা দ্য ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (আইএইচএমই) এই পূর্বাভাস দিয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন হ্যান্স ক্লাগ।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম ওমিক্রন সম্পর্কে জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই সময় দেশটিতে বেশ কয়েকজন ধরনটিতে আক্রান্ত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও জীবাণুবিদদের মতে, করোনাভাইরাসের এই রূপান্তরিত ধরনটি অকল্পনীয় দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে এটির ছড়িয়ে পড়ার হার ৭০ গুণ বেশি।

২৪ নভেম্বরের পর মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বের ৭৭ টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসটি। বর্তমানে বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশ রয়েছে এই ধরনটিতে আক্রান্ত রোগী।

এর আগে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে আতঙ্কজনক ধরন হিসেবে পরিচিত ছিল ডেল্টা, কিন্তু উচ্চ সংক্রমণক্ষমতার কারণে ইতোমধ্যে ডেল্টাকে পেছনে ফেলতে সক্ষম হয়েছে ওমিক্রন।

তবে ভাইরাসের এই ধরনটিতে আক্রান্তদের কেবল হালকা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে এবং তাদের অধিকাংশেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।

দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন- ওমিক্রন সুপার-স্প্রেডার, দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে। তবে এর গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টির ক্ষমতা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের চেয়ে অনেক কম। ওমিক্রনের কারণে কোনো জটিল রোগও হতে দেখা যায়নি।

এছাড়া ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে সংক্রমণের উপসর্গ বা লক্ষণও কিছুটা আলাদা। ওমিক্রনে আক্রান্তদের সাধারণ কিছু উপসর্গ হচ্ছে- প্রচন্ড মাথা ব্যথা, হাত-পাসহ শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, ক্লান্তি ও গলা শুকিয়ে যাওয়া।

তবে রোগী গুরুতর অসুস্থ হলে এসব উপসর্গের পাশাপশি নাড়ির স্পন্দন (পালস রেট) ও শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, প্রচণ্ড ক্লান্তি, শরীর ব্যথা ও মাথা ব্যথা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।


পূর্বপশ্চিমবিডি/জিএস

ওমিক্রন,ইউরোপ,ডব্লিউএইচও
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close