• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পাবনায় এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশ:  ১২ নভেম্বর ২০১৮, ২১:১৮ | আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৩৩
পাবনা প্রতিনিধি

এসএসসি পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময় বেতন, কোচিং ফিস সহ নানা খাতে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন স্কুলের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হলেও রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা মতে, বাড়তি টাকা আদায় পুরোপুরি অবৈধ। কিন্তু এসবের কোন তোয়াক্কা না করে জেলার অধিকাংশ স্কুলে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসক বলছেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা মতে, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে কেন্দ্র ফিসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৮শ’ টাকা এবং ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ১ হাজার ৬৮০ টাক নিতে পারবে স্কুলগুলো। তবে জেলার বিভিন্ন স্কুলে ‘অন্যান্য ও বিভিন্ন খাত’ সৃষ্টি করে প্রায় ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর

    জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, পাবনা জেলার ৯টি উপজেলায় ২৮৯টি মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। চলতি বছর এ সব স্কুল থেকে থেকে ৭৫ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে।

    এ ব্যাপারে আটঘরিয়ার দেবোত্তর পৌর মহল্লার মহরম খান বলেন, তিনি অল্প বেতনে চাকরি করেন। তার মেয়ে আটঘরিয়ার দেবোত্তর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তার ফরম পূরণের জন্য ২ হাজার ৬শ’ টাকা দিতে হয়েছে। এভাবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। শুধু এই বিদ্যালয়ই নয় জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় অধিকাংশ বিদ্যালয়ে অতিরিক্তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের।

    এ ব্যাপারে পাবনার সিদ্দিক মোমোরিয়েল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেএম মোবারক হোসেন মানিক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা অন্য স্কুলের ল্যাব ব্যবহার করি, তাদের টাকা দিতে হয়। বোর্ডের কিছু খরচ আছে, পাবনার কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে হয়, সেজন্য অভিভাবকদের সম্মতিতেই এই অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়।

    পাবনার ইমাম গাযযালী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ বেগম সুরাইয়া সুলতানা বলেন, তার অগোচরে শুধুমাত্র একটি বাচ্চার কাছ থেকে ৩ হজার ৪শ’ টাকা নেওয়া হয়েছিল। ঐ বাচ্চার অভিভাবক আসলে বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

    এ ব্যাপারে পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার এসএম মোসলেম উদ্দিন বলেন, “আমি নতুন যোগদান করেছি। তেমন কিছু জানিনা। তবে খোঁজ নেব”।

    পাবনার জেলা প্রশাসক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে তার কাছেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। তবে টাকা আদায়ের রশিদসহ অভিভাবকের লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেব।

    দুদক পাবনার উপ-পরিচালক মো: আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, এ সব বিষয়ে অভিযাগ পাওয়া যাচ্ছে। দুদক বিভিন্ন স্কুলে নজরদারী করছে। প্রমাণ পেলেই হাতেনাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ওএফ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close