একটি রাস্তার অভাবে তিন হাজার মানুষের দূর্ভোগ
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচূনা ভবানীপুর সল্লাপাড়ায় দেড় কিলোমিটার একটি মাত্র রাস্তার জন্য ৩হাজার মানুষের দূর্ভোগ। পীরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ভবানীপুর সল্লাপাড়া এলাকার নুরুল আমিনের বাড়ি থেকে শুরু করে ভারতের শেষ বর্ডার এলাকা পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার বা চওড়া না হওয়ায় চলাচলের একেবারে অনুপযোগী।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ভবানীপুর সল্লাপাড়া গ্রামে ভাল কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা এই ছোট কাদা মাটির রাস্তাটি দিয়ে খুবই কষ্ট করে যাতায়াত করে। গ্রামের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানটি ভাল মানের না হওয়ায় অন্য স্কুল দূরে হওয়ায় প্রত্যহিক শিক্ষা গ্রহন করা ছাত্র-ছাত্রীদের খুব কষ্ট হয়। কাচা কর্দমাক্ত রাস্তায় প্রায় পড়ে গিয়ে বই খাতা কাপড়-চুপড় নষ্ট করে বাড়ি ফিরে আসে। ভবানীপুর সল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুর সালাম ও মকবুল হোসেন বলেন,“আমরা সরকারি ভাবে আমাদের রাস্তাটি করা একান্ত জরুরি এবংকি এলাকার নারী পুরুষ বৃদ্ধ অসুস্থ হলেও কোলে করে বা উচু খাটিয়া করে পাশ্বের রাস্তা পর্যন্ত আনতে হয়।
সম্পর্কিত খবর
আমরা এ দূর্ভোগ থেকে বাচঁতে চাই। বছরে প্রায় সময়েই রাস্তাটি এতো খারাপ থাকে কোন ভ্যান রিক্সা তো দুরের কথা সাইকেল পর্যন্ত যাতায়াত করা সম্ভব না”। কৃষি নির্ভর অত্র এলাকার শতশত কৃষক তাদের পণ্য বাজারে নিতে পারে না রাস্তাটির কারণে।ফলে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা।
এলাকায় বসবাসকারী কোন উচ্চ পদের কর্মকর্তা না থাকায় ও দাবি করার মত কোন ব্যক্তি বসবাস না করায় রাস্তাটি অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। এহেন অবস্থায় ১১নং বৈরচূনা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান,রাস্তাটি নিয়ে একটা মামলা চলছিল তাই উন্নয়ন হয়নি তবে এখন আগামীতে সরকারি সহায়তা ও স্থানীয়দের সহযোগিতা পেলে রাস্তাটি ভাল করা সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডাবিøউ এম রায়হান শাহ বলেন, রাস্তাটি আমি দেখিনি আমরা দেখে সংস্কারসহ প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো নিবো।