নওগাঁয় অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে রেলের সম্পদ
নওগাঁর আত্রাইয়ে রেলওয়ের কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব সম্পদের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ। সেই সাথে বেদখল হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা ও জায়গা। ফলে রেলওয়ে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সূত্রে জানাযায়, আত্রাই পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন থেকে বর্তমান স্টেশন আহসানগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার লাইন দীর্ঘদিন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এ লাইনগুলো পরিত্যক্ত থাকায় একদিকে যেমন অযত্নে অবহেলায় বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে অপরদিকে তেমনি অনেকটা বেদখল হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
এ ছাড়াও রেলওয়ের বিশাল গুদাম ও টিকিট ক্যালেক্টর ভবন পরিত্যক্ত থাকায় দিন দিন এর মূল্যমান জিনিসপত্র হারিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওই ভবনের দরজা জানালা উধাও হয়ে গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। এ দিকে রেলের এসব স্থাপনা পরিত্যক্ত থাকায় এবং রেলের নিজস্ব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন তৎপরতা না থাকায় এসব স্থাপনা অনেকটা অসামাজিক কার্যকলাপে আখড়ায় পরিনত হয়েছে।
রেলওয়ের পক্ষ থেকে এসব স্থাপনা সংস্কার বা ভেঙ্গে দিয়ে বিস্তীর্ণ এ এলাকাজুড়ে মার্কেট গড়ে তুললে একদিকে রেলের রাজস্ব আয় হবে অপর দিকে কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে এলাকার শত শত বেকার।
আত্রাই রেলস্টেশন সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের ফজলুর রহমান বলেন, রেল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারণে রেল প্রতিনিয়ত লোকসানের শিকার হচ্ছে। আত্রাই রেল স্টেশনের নীচ দিয়ে কেডিসি পর্যন্ত তাদের গুদাম ও অন্যান্য পরিত্যক্ত স্থাপনা সরিয়ে এখানকার জায়গা দখলমুক্ত করে মার্কেট তৈরি করলে রেল প্রতি মাসে প্রচুর রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, গুদামের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমাংশ বেদখল হয়ে গেছে। এভাবে পড়ে থাকলে কিছুদিন পর হয়তো গুদামের টিনও খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার ছাইফুল ইসলাম বলেন, নিচের গুদামঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নিয়ে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে জানিয়েছি। কিছুদিন পূর্বে গুদামঘরটি লিজ দেয়ার প্রক্রিয়ার কথা শোনা গেলেও মাঝপথে তা বন্ধ হয়ে যায়।
/পি.এস