মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে স্বামীর লিঙ্গ কেটে দিল স্ত্রী
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে স্বামীর লিঙ্গ কেটে দিয়েছে এক স্ত্রী। শুক্রবার (১৫ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রীনগর থানায় ওই স্ত্রী কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, মা হিসেবে মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচানোর জন্য এর বাইরে তার আর কিছু করার ছিলনা।
সম্পর্কিত খবর
তিনি জানান, তার স্বামী বাড়ৈখালী বাজারে নাবিল টেইলার্সের মালিক। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এলাকায় নারীলোভী হিসেবে পরিচিত তার স্বামী বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িত। একাধিকবার সে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা করার সময় জনতার হাতে ধরা পড়ে মার খেয়েছে।
স্বামীর এসব আচরণ মেনে নিলেও নিজ মেয়ের উপর স্বামীর কুনজর তিনি মেনে নিতে পারেননি। এ কারণে বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যান তিনি। পরে পারিবারিকভাবে মিমাংসার মাধ্যমে স্বামীর সংসারে ফিরে আসেন।
কিছুদিন পর ওয়ারিশ তার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিলে মেয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। উপায় না দেখে তিনি তাড়াতাড়ি পাশের উপজেলার এক প্রবাসীর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। তারপরও স্বামী দৃষ্টি ঠিক না হওয়ায় তিনি স্বামীকে আরেকটি বিয়ে করার পরামর্শ দেন।
তিন দিন আগে ঈদ উপলক্ষে মেয়ে বেড়াতে আসলে লম্পট ওয়ারিশ আবারও মেয়ের দিকে লোলুপ দৃষ্টি দেন। বিষয়টি ওয়ারিশের স্ত্রী তার দেবর ও ভাসুরদের জানান এবং মেয়েকে তাদের ঘরে শোয়ার ব্যবস্থা করেন।
এতে ওয়ারিশ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং স্ত্রীকে মারধর করেন। উপায় না দেখে দোলন আক্তার ঈদের দিন সন্ধ্যায় ওয়ারিশকে সেমাইয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। রাত ১২টার দিকে ওযারিশ ঘুমিয়ে পড়লে ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর লিঙ্গ কেটে ঘর থেকে বের হয়ে যান।
পরে ওয়ারিশের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর স্ত্রী দোলন বেগম নিজ ঘরে ফিরে আসেন এবং সকালে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।
শ্রীনগর থানার ওসি এসএম আলমগীর হোসেন জানান, মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।