• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

হঠাৎ তিস্তায় পানি, কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশ:  ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ০৯:৩৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

তিস্তা নদীতে উজান থেকে হঠাৎ ঢল নেমেছে। বোরো মৌসুমে পানি আসায় তিস্তার চর ও দু’পাড়ের শত শত কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

তিস্তাপাড়ের ফরহাদ আলীসহ অনেকই বলেন, হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি বোরো ধানে আর সেচ সমস্যা হবে না।

সম্পর্কিত খবর

    মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজে পানি বাড়তে থাকে। রাতেই পানির পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৫০ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। পরের দিন বুধবার দুপুরে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বেড়ে দাঁড়ায় ৫১.১০ সেন্টিমিটার। মোট পানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৩’শ কিউসেক।

    পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, শুস্ক মৌসুমে এ ধরনের পানি প্রবাহ অব্যাহত থাকলে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেয়া যেত। পানি না থাকায় এ বছর ব্যারেজের রংপুর ও দিনাজপুর কমান্ড এরিয়া বাদ দিয়ে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। যাতে শত শত কৃষক পানি থেকে বঞ্চিত হয়ে চাষাবাদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে।

    সূত্র মতে, পানি স্বল্পতার কারণে চলতি মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমির বোরো ক্ষেতে সেচ দেয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে বন্ধ থাকা তিস্তা ব্যারেজের কয়েকটি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে তিস্তার ধুধু বালু চরে পানি উঠেছে। তিস্তার চরে রোপন করা ভুট্টা ক্ষেত পানিতে ভরে উঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এদিকে হঠাৎ পানি আসায় সবজিসহ মিষ্টি কুমড়া, পেঁয়াজ ও রসুনের ক্ষেত পানিতে ডুবে যাওয়ায় হতাশাও লক্ষ্য করা গেছে কৃষক পরিবারগুলোতে।

    তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ আগেও ব্যারেজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল মাত্র ৮০০ থেকে ৯০০ কিউসেক। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পানি বেড়ে যায়। বুধবার দুপুরে পানি দাঁড়ায় ২৩০০ কিউসেক।

    পানি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি জানান, ব্যারেজের উজান ও ভাটিতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভারত গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দিয়েছে। এ কারণেই তিস্তায় পানি বেড়েছে। তবে ভরা বোরো মৌসুমে এমন পানি বাড়ায় কৃষক খুব লাভবান হবে বলে জানান পাউবোর এই কর্মকর্তা। সূত্র: ইউএনবি

    /এসএম

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close