• বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পীরগঞ্জে অবাধে চলছে কোচিং বাণিজ্য

প্রকাশ:  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:২৮ | আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:৩৪
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অবাধে চলছে কোচিং বাণিজ্যের রমরমা ব্যবসা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। নিয়মবহির্ভুত কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা থাকলেও এ বিষয়ে প্রশাসন দর্শকের ভূমিকায় চুপচাপ থাকায় শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা এখন একটি কাগুজি আদেশে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষানূরাগী ব্যক্তিরা। ছাত্রত্ব রক্ষার জন্য অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে নামে মাত্র ভর্তি হয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে এসব কোচিং সেন্টারে ঝুঁকে পড়েছে।

বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের আকৃষ্ট করে শিক্ষার পরিবেশ ও মানহীন এসব কোচিং সেন্টারগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভালো ফলাফলের আশায় বছরের শুরু থেকে বাড়ি ভাড়া কিংবা নিজেস্ব বাসায় চলা কমপক্ষে অর্ধশতাধিক কোচিং সেন্টার শিক্ষার নামে বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌর শহরের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে বহু কোচিং সেন্টার।

সম্পর্কিত খবর

    ইউরেকা কোচিং সেন্টার, আইডিয়াল কোচিং সেন্টার, উন্মেষ কোচিং সেন্টার, প্রতিভা কোচিং সেন্টার, সাকসেস কোচিং সেন্টার, মাদার কোচিং সেন্টার, ডে-নাইট কোচিং সেন্টারসহ নামে-বেনামে রয়েছে শতাধিক কোচিং সেন্টার।এছাড়া গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অনেকে ব্যক্তিগতভাবে সাইনবোর্ডবিহীন অনেক কোচিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন। সূত্র জানায়, এসব প্রতিষ্ঠানে এমপিও ভূক্ত শিক্ষকরা কলেজ ও ভার্সিটির ছাত্রদের দিয়ে যেনতেনভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নামে বেনামে গড়ে ওঠা বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ৪র্থ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত্র ১০টা পর্যন্ত এক টানা উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হয়।

    এমনও অভিযোগ রয়েছে কোচিং চলাকালীন সময় শিক্ষকদের যথাযথ তদারকির অভাবে ছেলে মেয়েরা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্তও হচ্ছে।সরকারি আইন অমান্য করে এসব চললেও অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় দেখার কেউ নেই। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা অনুযায়ী এসব সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও শিক্ষা কর্মকর্তাদের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অভিভাবক মহলে। তারা এ বাণিজ্য রোধে প্রসাশনের সহযোগিতা চাইছেন। এমনকি প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান কামনা করছেন।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close