• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

হাইকোর্টের নির্দেশে ৬ মাসের প্রাণ পেলো গাছগুলো

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১১:৩৬
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

সোমবার একটি দৈনিকে প্রকাশিত‘কাটা হচ্ছে চার হাজার গাছ’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গাছ কাটার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করেন মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. মনজুরুল ইসলাম।

মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্ত করার লক্ষ্য এর দুই পাশে থাকা প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটতে হবে।আঞ্চলিক মহাসড়কটির প্রশস্ত করার জন্য দরপত্রের মাধ্যমে এসব গাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় জেলা পরিষদ। গেলো বছরের ৬ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র অনুযায়ী তিন হাজার ৭২৫টি গাছ ২৮টি প্যাকেজে বিক্রি করা হয়। দরপত্রের শর্তানুযায়ী সর্বোচ্চ দর এক কোটি ৩৬ লাখ ১৪ হাজার ১৩৯ টাকায় গাছগুলো বিক্রি করা হয়। মূসকসহ এর দর দাঁড়ায় এক কোটি ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৭ টাকা।

সম্পর্কিত খবর

    যশোর রোডের পর এবার হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা জারিতে ৬ মাসের প্রাণ পেলো মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইরের আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় তিন হাজার গাছ। মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে থাকা প্রায় ৩ হাজার গাছ কাটার ওপর ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। রুলে মহাসড়কের ৩১ কিলোমিটারে থাকা ৩ হাজার ৭২৫টি গাছ কাটার বেআইনি কার্যক্রম কেন সংবিধানের বিধান পরিপন্থী ও আইনবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সড়ক নির্মাণকাজে (প্রশস্ত) পরিকল্পনা সংশোধনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

    সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সচিব, পরিবেশসচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।

    জেলা পরিষদ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার জরিনা কলেজ মোড় পর্যন্ত ৩১ কিলোমিটার এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি ১৭ ফুট চওড়া। এটি প্রশস্ত করে ২৮ ফুটে উন্নীত করা হবে।

    সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান খান বলেন, ১৯৯১ সালের চুক্তি অনুযায়ী গাছগুলোর মালিক উপজেলা পরিষদ, প্রশিকা এবং সুবিধাভোগীরা। সেসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্রে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। গাছ বিক্রির লাভের অংশ চুক্তি অনুযায়ী যারা প্রাপ্য তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া উচিত। তবে বাজার দরের চেয়ে গাছগুলোর মূল্য বেশ কম।

    বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা জানান, প্রায় ২৭ বছর ধরে তারা গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন। শতকরা ৬৫ ভাগ লাভ তাদের পাওয়ার কথা থাকলেও গাছ কাটার বিষয়ে তাদেরকে জানানো হয়নি। তাদেরকে কোনো টাকাও দেয়া হয়নি।

    তারা অভিযোগ করেন, বাজার দরের চেয়ে গাছগুলো অনেক কম মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে। এতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close