• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শেখ হাসিনাকে নিয়ে আল-জাজিরার আপত্তিজনক প্রতিবেদন

প্রকাশ:  ০৭ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:০৩
শেখ আদনান ফাহাদ

জার্মান প্রতিষ্ঠান বারটেলসম্যান স্টিফটুং এর পরে এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিজনক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা’ কায়েম করছেন বলে বিশেষ সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা। ‘Is Bangladesh moving towards one-party state’? শীর্ষক সে প্রতিবেদনে চেষ্টা করা হয়েছে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে বিতর্কিত প্রমাণের।

মজার বিষয় হল, একই শিরোনামে আল-জাজিরা আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল তারিখে। আর এবার প্রকাশ করেছে এপ্রিল ৪, ২০১৮ তারিখে। নতুন করে তৈরি ও প্রকাশিত প্রতিবেদনটির সূচনায় বলা হয়েছে, ‘The controversial jailing of former Bangladesh Prime Minister Khaleda Zia and the state persecution of dissent have raised fears that the next parliamentary election could turn into a violent sham ’. অনুবাদ করলে এর অর্থ দাঁড়ায়- ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিতর্কিত কারাগারপ্রেরণ এবং বিরোধীদের উপর রাষ্ট্রীয় জুলুম-নির্যাতনের ফলে পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচন একটি সহিংস প্রতারণায় রূপান্তরিত হতে পারে’।

সম্পর্কিত খবর

    বাংলাদেশের আদালতের রায় নিয়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে স্পষ্টতই আদালত অবমাননা করল আল-জাজিরা। দেশের আদালত খালেদা জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরাও সে আইনি প্রক্রিয়া মেনে নিয়ে উচ্চ আদালতে তাঁর মুক্তির জন্য লড়ছেন। অথচ খালেদা জিয়ার রায়কে ‘বিতর্কিত’ বলছে আল-জাজিরা! আদালত অবমাননার এই সর্বশেষ নজির কি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের নজর এড়িয়ে যাবে?

    প্রতিবেদনে ২০১৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনকে একতরফা ও সহিংস বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সহিংসতার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোটকে দায়ী না করে বলা হয়েছে, সরকার পুনরায় এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিপক্ষের উপর ‘নির্যাতন’ চালাচ্ছে।

    ‘জোর করে গুম’ সাব-হেডে প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘খালেদা জিয়াকে বিতর্কিতভাবে কারাগারে প্রেরণ করার পর থেকে শেখ হাসিনার জন্য এটা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে যে, তিনি একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছেন না।

    আল-জাজিরার প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার রায় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ এতিমের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২১ মিলিয়ন টাকা আত্মসাতের দায়ে গত ফেব্রুয়ারি ৮ তারিখে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের এবং তাঁর উত্তরসূরি তারেক রহমানসহ আরও চারজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। প্রায় এক মাস পরে খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হলেও সুপ্রিম কোর্ট কোনো কারণ ছাড়াই সে জামিন স্থগিত করে দেয়’।

    খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তার এবং কারাগার প্রেরণের পর সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন এবং আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন বলেও নিজেদের প্রতিবেদনে লিখেছে আল-জাজিরা। বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলায় রায়ের দিন পুলিশ বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিরোধীদলের তিন সহস্রাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    বিএনপি দাবির বরাত দিয়ে আরও লেখা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলের ৫০০ সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে, ৭৫০ জনকে ‘অপহরণ’ করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির ১৫০ জন নিখোঁজ কর্মীকে হয় বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে, নতুবা গুম করে দেয়া হয়েছে।

    ২০১৩-২০১৫ সাল সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট কর্তৃক সংঘটিত পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস নিয়ে কিছু না লিখলেও, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও চলমান নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। জার্মান প্রতিষ্ঠান বারটেলসম্যান স্টিফটুং কর্তৃক বাংলাদেশের ‘নব্য স্বৈরতান্ত্রিক’ দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণও আল-জাজিরার রিপোর্টে হাইলাইট করা হয়েছে।

    আল-জাজিরার প্রতিবেদনে মূলত শেখ হাসিনাকে বিতর্কিত প্রমাণ করার চেষ্টা হলেও এক জায়গায় তাঁকে খালেদা জিয়ার সঙ্গেই তুলনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘Hasina and Zia- both women are related to former Bangladesh leaders- have dominated the country's politics for more than two decades. In fact, the bitter rivalry between the country's most powerful "begums" has pushed Bangladesh in the grip of violence and unrest for years’. জার্মানির প্রতিষ্ঠানটির রিপোর্টেও শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য মূল হুমকি বলে বর্ণনা করা হয়েছিল। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, এই দুজনকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টাকে আমরা ‘মাইনাস টু’ থিওরি বলে জানি।

    ‘নির্বাচন নিয়ে সংশয়’ শীর্ষক সাব-হেড সম্বলিত প্রতিবেদনটির আরেকটি অংশে শেখ হাসিনাকে যেনতেনভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী এবং দপ্তরের সাহায্যে টিকে আছে। সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বরকে নাকি বর্তমান সরকার দাবিয়ে রেখেছে! বলা হয়েছে, ‘In her 10-year tenure as the prime minister of Bangladesh, Hasina has been accused of using the state's law enforcement apparatus as well as the judiciary to suppress the voice of the opposition’.

    ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য সংসদীয় নির্বাচন নিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদক কথা বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত অধ্যাপক আসিফ নজরুলের সঙ্গে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর আলী রিয়াজ এবং কয়েকজন পেশাজীবীর সঙ্গে কথা বলে নিজের প্রতিবেদনটি দাঁড় করিয়েছেন আল-জাজিরার প্রতিবেদক ফয়সাল মাহমুদ।

    সাক্ষাৎকার দাতারা প্রায় একই সুরে কথা বলে বোঝাতে চেয়েছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি ‘একদলীয়’ শাসনব্যবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন! সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই নাকি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এদের বর্ণনা শুনলে মনে হবে বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান বা হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের মত কোনো সামরিক শাসকের স্বৈরশাসন চলছে।

    একটি বহুজাতিক কোম্পানির চাকুরে নাদিয়া তাবাসসুম আল-জাজিরার প্রতিবেদককে বলেছে, আওয়ামী লীগ বিরোধীদলের উপর এমনই নির্যাতন চালিয়েছে যে, নতুন করে কেউ আর আন্দোলনের সাহস পাচ্ছে না। হাসান হাবিব নামের একজন রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, দুই শীর্ষ দলের কলহ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অসম্ভব করে তুলেছে।

    আল-জাজিরার রিপোর্টে জাসদ থেকে মহাজোটের মন্ত্রী হওয়া হাসানুল হক ইনু এবং আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খানের মন্তব্য দেয়া হলেও বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার কর্মীরা তাদের দাবিকে বাতিল করে দিয়েছেন। ইনু এবং ফারুক খান আল-জাজিরাকে বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা ও পরিবেশ অব্যাহত আছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডিরেক্টর মীনাক্ষী গাঙ্গুলি আল-জাজিরাকে বলেছেন, মিয়ানমারে জাতিগত গণহত্যার শিকার হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিকতা প্রদর্শন করে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক মহলের প্রশংসা অর্জন করলেও দেশের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’।

    মীনাক্ষী গাঙ্গুলি আরও বলেন, ‘জোরপূর্বক গুম করে দেয়ার বিষয়টি সরকার অবিরাম অস্বীকার করছে। কাস্টডিতে নেয়া ব্যক্তিগণকে অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। গুম হওয়া অনেকের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলোর সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং কর্মীরা একটি ভয়ের পরিবেশে কাজ করছে। এমন সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করায় অনেক সাধারণ নাগরিকের নামে মামলা দেয়া হয়েছে’।

    অধ্যাপক আলী রিয়াজ বর্তমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অস্বস্তির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমান রাজনৈতিক এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী নয় ("not suitable" for holding an election, let alone an "inclusive" one)।

    আলী রিয়াজ বলেছেন, ‘নির্যাতিত’ বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের যদি আসন্ন নির্বাচন বয়কট করতে বাধ্য করা হয় তাহলে সে নির্বাচনটি হবে- "hollow without any moral legitimacy, just like the 2014 elections", অর্থাৎ অধ্যাপক আলী রিয়াজ ২০১৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ বলছেন, আবার এটাও আগাম বলে দিচ্ছেন, বিএনপিকে ছাড়া আগামী নির্বাচন বৈধ হবে না। অথচ বিএনপির আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। বিএনপির অস্বস্তি খালেদা জিয়াকে নিয়ে। তিনি এখন সাজাপ্রাপ্ত একজন নাগরিক। আরও অনেক মামলা চলমান আছে। সেগুলোতেও সাজা হতে পারে খালেদা জিয়ার। একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন? বিএনপি বলছে, খালেদা জিয়াকে ছাড়া দলটি নির্বাচনে অংশ নিবে না। আবার আমরা জানি যে, বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ না নিলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। বাংলাদেশে বিরোধীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে বলেও দাবি করেছেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ।

    শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে অগণতান্ত্রিক প্রমাণে আওয়ামী লীগ বিরোধী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের শরণাপন্নও হয়েছেন আল-জাজিরার প্রতিবেদক। আসিফ নজরুল আল-জাজিরাকে বলেছেন, সরকার এবং একটি রাজনৈতিক দল মনে করছে, তাদের কারো কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে না; এটি গণতন্ত্রের জন্য একটি বিপদজনক লক্ষণ’।

    আল-জাজিরার প্রতিবেদনে একই সাথে শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার গণতান্ত্রিক নয়! খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলায় আদালতের রায়কে বলা হয়েছে বিতর্কিত, যা স্পষ্ট আদালত অবমাননা। পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি বারবার বলা হলেও বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মীদের সহিংসতায় ২০১৩-২০১৫ সালে নিহত, আগুনে দগ্ধ সাধারণ মানুষের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা এই প্রতিবেদনে কোথাও বলা হয়নি। গত ৯ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাষ্ট্রীয় সাফল্য সম্পর্কেও একটা শব্দ ব্যয় করেনি আল-জাজিরা।

    আর মাত্র কয়েক মাস আছে সংসদীয় নির্বাচনের। এর আগে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারকে বিতর্কিত করে সাধারণ মানুষ এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে উপস্থাপন করতে পারলে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব শক্তি এবং তাদের স্থানীয় দোসর অপশক্তির হীন উদ্দেশ্য হাসিল হয়। তাই গত ৯ বছরে সরকারের সব সাফল্যকে ম্লান করার জন্য শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছে বিরোধী শক্তি। বিদেশী গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে চলছে অবিরাম অপপ্রচার।

    বর্তমান সরকারের অনেক সাফল্য রয়েছে, ব্যর্থতাও আছে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল এই সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাবে বিশ্বাসী নয়। যে কোনো মূল্যে এই অপশক্তি শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের পতন চায়। স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলেও এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ, ছবি প্রচার করে দেশব্যাপী সাধারণ মানুষকে যারপরনাই বিভ্রান্ত করেছিল।

    আল-জাজিরা বা বারট্যালসম্যান স্টিফটুং এর প্রতিবেদন সে অপপ্রয়াসেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। দেশবাসী বিভ্রান্ত হবেন কি না, সেটি নির্ভর করে দেশবাসীর উপরেই। দেশবাসী বিভ্রান্ত হওয়া মানে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিভ্রান্ত হওয়া। আল-জাজিরা আমাদের কাছে সেদিনই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছিল, যেদিন গোলাম আযমসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদেরকে মহিমান্বিত করে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। বিশ্বের বহুদেশে আল-জাজিরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এদের সাংবাদিক নামের চরদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরবি ক্যালিগ্রাফির আল-জাজিরা সিআইএ আর মোসাদের চর হিসেবে কাজ করে বলে বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অপশক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ ও সরকারের প্রতিটি দপ্তরকে তাই সতর্ক থাকতে হবে।

    লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রঃ ঢাকা টাইমস
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close