শেকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ব্যাপক ভাঙচুর
হলের ক্যান্টিন বন্ধ ও খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. হাসানুজামান আকন্দসহ নয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের প্রায় অর্ধশতাধিক কক্ষসহ ল্যাপটপ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. ফরহাদ আমাদের সময়কে জানান, ‘ এ ঘটনা সর্ম্পকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবগত। সামান্য বিষয় নিয়ে হলে ভাঙচুরসহ অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও কর্মকর্তা সূত্র জানায়, হলের ক্যান্টিন বন্ধ ও খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুই পক্ষের মধ্যে রোববার রাত ১১টা থেকে দিবাগত রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেরেবাংলা হলের হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. হাসানুজামান আকন্দসহ উভয় পক্ষের নয়জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আবাসিক হলের প্রায় অর্ধশতাধিক কক্ষসহ ল্যাপটপ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিঠু বলেন, আমার গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে সম্পাদক মিজানুর রহমান জানান, ‘এ ঘটনায় আমার ছয়জন ছোট ভাই আহত হয়েছে। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।